“নীলফামারীর বড় মাঠ” থেকে শতবর্ষীয় কোরবানীর পশুরহাটি সরিয়ে নীলফামারী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শুরু হয় বছর চারেক আগে। সাপ্তাহের বুধ ও রবিবারের পশুর হাট টার্মিনালে জায়গা সংকুলান হলেও কোরবানীর হাটে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় নীলফামারী-সৈয়দপুর প্রধান সড়ক ও সড়ক সংলগ্ন মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে হাট বসানোর ব্যবস্থা করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। নীলফামারী জেলা ছাড়ার পাশের জেলা রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে যেমন পশু ক্রয়ের জন্য অনেকেই আসেন তেমনি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও গরুর মহাজন ও ব্যাপারীরাও আসেন ঈদের আগে বসা নীলফামারীর এ’দুটি ঈদ কোরবানীর পশুহাটে। এবছরও ঈদহাটের প্রথম দিন বাস টার্মিনাল ছাপিয়ে হাট গিয়ে ঠেকে পাশের মিল চাতাল ও ফসলি ক্ষেতে। গরু-মানুষ আর পশু পরিবহনের নছিমন, ভটভটিতে তিল ধারনের জায়গা ছিলনা বাস টার্মিনালজুড়ে। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে নীলফামারী-সৈয়দপুর প্রধান সড়ক। পুলিশ প্রশাসনের অনেককেই হিমশিম খেতে দেখা গেছে সড়ক সচল রাখতে। পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদকেও বেশীর ভাগ সময় হাট এলাকায় তদারকি করতে দেখা গেছে। ওদিকে আকস্মিকভাবে গরুর রশিদ মূল্য ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা এবং গরু বিক্রেতার কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই ২০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ওদিকে জেলার ঢেলাপীর হাট, মীরগঞ্জহাট, বসুনিয়াহাট, আমবাড়ীহাট ভবানীগঞ্জ হাটসহ জেলার অন্যান্য হাটেও গরুর রশিদ মূল্য ও চাঁদা বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটে প্রচুর গরু আমদানী হলেও দাম বেশী হাঁকানোয় বিক্রি ছিল কম। তবে আগামীকাল রবিবারের শেষ হাটের উপরই ভরসা করছেন অনেকে।