কুড়িগ্রামের রাজিবপুর শোক দিবসের প্রস্তুতি সভায় আলোচনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের প্রথমে কলার ধরাধরি। পরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান রতন ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলামকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজিবপুর উপজেলার বটতলা নামক স্থানে সন্ত্রাসী কায়দার তাদের কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে উপজেলা সভাপতি আবদুল হাই সরকার গং। দলীয় সুত্রে জানা গেছে শুক্রবার বিকালের দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিউল আলম গং মশিউর রহমান রতনের সাথে এবং সভাপতি আবদুল হাই সরকারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সভাপতি পুত্র শুভ রতনের কলার ধরে বসে। এটি আবার সন্ধ্যায় মিলমিশ করে দেন সাধারন সম্পাদক শফিউল। কিন্তু আবদুল হাই সরকার বাড়ি ফিরে আসলে তার লোকজন বটতলা নামক স্থানে দেশীয় অস্ত্রসহ অপেক্ষা করতে থাকে। রাত ৯টার দিকে রাজিবপুর বাজার থেকে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগর সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী মশিউর রহমান রতন ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবুর মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ি গড়াইমারীর উদ্দেশ্য রওনা হয়। পথিমধ্যে বটতলা নামক স্থানে আসার সাথে সাথে হাই গ্রুপ তাদের মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে এবং অর্তকিত ভাবে হামলা করে বেদড়ক মারপিট করে ২ জনকেই গুরুতর আহত করে। পরে তাদের আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতা কর্মীরা আহত অবস্থায় তাদেরকে রাজিবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত মশিউর রহমান রতনের অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাাল রেফার্ড করেন। তার মাথায় ৩/৪ জায়গায় ও বামহাতের কুনুই ভেঙ্গে ফেলেছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। রাতেই তার মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেলে। শনিবার সকালে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ডাক্তার দল তার রিপোর্ট দেখেছেন। তার অবস্থা ভালো নয় তাই তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করতে পারেন, বলে তার ছোট ভাই মানিক জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে রাজিবপুর থানায় কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ আশরাফুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি আবেদন করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।