আগামীকাল রোববার দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন। সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুগতরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একদিন আগেই ওই ঈদ পালন করবেন। সূফি সাধক মাওলানা মোখলেছুর রহমান (র:) অন্তত দুইশত বছর পূর্বে ওই নিয়ম প্রবর্তন করেন। এজন্য দরবারের মুরিদরাও একদিন আগেই থেকে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন অব্যাহত রেখেছেন প্রতি বছর।
একাধিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল, চরতি, পুরানগড়, মৈশামুড়া, গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, চুনতি, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান, ফটিকছড়ির একাধিক গ্রামসহ পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা এলাকার মানুষ রোববার ঈদুল আযহার নামাজ আদায় এবং পশু কোরবানি দিবেন। এই দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় এবং কোরবানির জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এতে মুসল্লীরা মির্জারখীল দরবার শরীফের মাঠে সকালে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। নামাজের ইমামতি করবেন দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাইয়ের ছেলে মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান।