ঈদের বাকী আর মাত্র একদিন। নারীর টানে ঘরে ফেরার শেষ সময়ে যানবাহনের প্রচন্ড চাপ রয়েছে পাটুরিয়া ঘাটে। তবে এর বিপরীত দিক রয়েছে দৌলতদিয়ায় সেখানে নৌযান থেকে নামার জন্য যাত্রী চাপ রয়েছে। পদ্মা পার হলেই দে ছুট, কোন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহার করা দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের।
শনিবার সকালে দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটের পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড ভীড়। ভোর থেকেই বাড়ছে ছোট গাড়ির সংখ্যা। লঞ্চ পারাপারেও রয়েছে যাত্রীদের উপচে পরা ভীর। ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও অতিরিক্ত যানবাহণ ও যাত্রীর চাপে এই দূর্ভোগের সুষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই ৫-৬ শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
দৌলতদিয়া পারে শনিবার সকাল থেকেই একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। তবে পাটুরিয়া থেকে ঘাট পার হয়ে আসা যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ রয়েছে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখা ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন পাটুরিয়া ঘাট শাখার এজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, শেষের দিকে একটু চাপ যানবাহন ও যাত্রীদের। এ নৌ রুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। নদী পারের অপেক্ষায় ছোট বড় মিলে ৪ থেকে ৫ শত গাড়ী রয়েছে। নদীতে ¯্রােত বেশি থাকায় ফেরীগুলো নদী পার হতে সময় নিচ্ছে। আশা করছি বৈরী আবহওয়া না হলে কোন দুর্ভোগ হবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া পার থেকে কিছুটা পরিবহনের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। যেহেতু ওপারে চাপ তাই ফেরী খালি থাকলেও দ্রুত ছাড়তে হচ্ছে। তীব্র ¯্রােতের কারণে ফেরিগুলো ঠিক মতো চলতে বিঘœ ঘটছে।
বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের সুপার ভাইজার মহম্মদ আলী বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২২টি লঞ্চ পারাপারে কাজ করছে। পাটুরিয়া থেকে যখন লঞ্চ গুলো আসছে তখন প্রচন্ড চাপ রয়েছে যাত্রীদের পরিবহনে উঠার জন্য।