ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কামারশালাগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের। দগদগে আগুনে পোড়ানো গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের ছন্দময় পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক কামারশালা।
উপজেলার লক্ষীকোল বাজারের কামার বিপেন কুমার জানান, আধুনিক যন্ত্রপাতির সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতে না পারায় বছরের অন্য সময় হাতে তেমন একটা কাজ থাকে না। তবে কোরবানি ঈদে হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু জবাই করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদির ধাতব হাতিয়ার প্রয়োজন পড়ে। ঈদের বিপুল চাহিদার যোগান দিতে প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের আর কয়েকদিন বাঁকি থাকলেও পাইকারী দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া খাওয়ার ফুসরত মিলছে না। কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরী করা হয় এসব ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুরি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। রামাগাড়ী বাজারের মিঠুন কর্মকার জানান, আকৃতি ও লোহা ভেদে দা ৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছুরি ৩০ থেকে ৩০০ টাকা, ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা, চাপাতি এক একটি ২২০ থেকে ৪২০ টাকা এবং ধার দেয়ার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা “পানি” দিতে আসছেন অনেকে।