পবিত্র ঈ দুল আযহা কে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি, ঘরমুখো মানুষের শিমুলিয়া ঘাটে উপচেপরা ভীর। আজ শনিবার ২য় দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ। শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ি এ নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি, সাড়ে ৪ শতাধিক স্পিডবোট, ৮৮টি লঞ্চ দিয়ে পারাপার হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
আজ ভোর থেকেই ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ দেখাগেছে। এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের চাপও বাড়তে থাকে দ্বীগুন।
ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন ছোট বড় ৫ শতাধিক যানবাহন।
দেশের দক্ষিণ বঙ্গের ২৩ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত শিমুলিয়া ঘাট। ঈদ উপলক্ষ্যে এ ঘাটে ৪ শতাধিক পুলিশ বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ২৪ঘন্টা নিয়যিত রয়েছেন যাত্রীদের নির্বিঘœ নিরাপত্তায় যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন।
ঘাট এলাকায় ছিনতাই মলম পার্টিসহ কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট এর জন্য সার্বক্ষণিক ম্যাজিষ্ট্রেট রয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ মাওয়া সহকারি পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, গত কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় গতকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮৮টি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে ভাড়া ও যাত্রী বেশি নেওয়ার কোন অভিযোগ নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় যাত্রীদের নির্বিঘেœ পারাপার করতে পারছি, কোন দূর্ভোগ নেই।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলাম জানান, ঘাটে সকালে যাত্রী চাপ ছিল তবে এখন কমতে শুরু করেছে। ফেরীঘাট, লঞ্চ ঘাট ও স্পীডবোট ঘাটে আমাদের পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। বাসে ভাড়া বেশি নেওয়াসহ কোন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই, কোন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।