যশোরের কেশবপুরে রাজহাঁস চোরকে বাদি করে নীরিহ লোকদের আসামি করে থানায় মামলা করার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বরনডালি গ্রামের আবদুল গফুর তোতা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলার পলাশপোল গ্রামের মৃত সাত্তার গাজীর ছেলে মোসলেমউদ্দীন দেয়াড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ১০টি ও বরনডালী গ্রাম থেকে ৫টিসহ মোট ১৫টি রাজহাঁস চুরি করে সরসকাটি ব্রিজ পার হচ্ছিল। এ সময় হাঁস মালিক রেজাউল করিম মোবাইল ফোন করে এ ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বরনডালি গ্রামের আকরামের ছেলে ফিরোজ সরসকাটি ব্রিজের উত্তর পাশ থেকে হাঁসসহ চোর মোসলেমকে আটক করতে গেলে সাইকেলসহ হাঁস রেখে সে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়। এ খবর কে বা কারা পুলিশকে জানালে ভালুকঘর ক্যাম্প ইনচার্জ নাছিরউদ্দীন একদল পুলিশ নিয়ে হাঁস ও সাইকেল উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে ক্যাম্প ইনচার্জ নাছিরউদ্দীন বরনডালি গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মো. শাহাজান আলী, সিরাজুল মোল্যার ছেলে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দীন, আবদুল গফুর তোতার ছেলে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. কিরণ মিয়া ও আহাদ আলী গাজীর ছেলে মো: জামাল হোসেনকে ডেকে ক্যাম্পে নিয়ে হাঁস চোর হিসেবে কেশবপুর থানায় সোপর্দ করে। ৮ আগস্ট সকালে পুলিশ চোরকে এ মামলার বাদি করে নীরিহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা রেকর্ড করে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে। যার মামলা নং-২। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তি হাঁসসহ চোরকে আটক করতে গিয়েছিল সেই ফিরোজকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি। অথচ যারা ঘটনাস্থলে ছিল না পুলিশ তাদেরকে ডেকে নিয়ে আসামি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হাঁসের মালিক দেয়াড়া গ্রামের রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ কার স্বার্থে হাঁস চোর মোসলেমকে বাদি করে নীরিহ লোকদের চোর সাজিয়ে মামলা নিল? তিনি উদ্ধার হওয়া তার হাঁস ফিরে পেতে ও নীরিহ লোকদের এ মামলা থেকে অব্যহতির দাবি জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দীনের ভাই মো. কামাল হোসেন।
এব্যাপারে ভালুকঘর ক্যাম্প ইনচার্জ নাছিরউদ্দীন জানান, এ মামলার বাদি মোসলেম পুলিশে খবর দিয়ে জানায় সে একজন হাঁস মুরগির ব্যবসায়ী। সে এলাকা থেকে হাঁস মুরগি ক্রয় করে যাওয়ার সময় মামলার উল্লিখিত ৪ ব্যক্তি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ অভিযোগে একটি মামলা রুজু করা হয়।