ঈদের আর একদিন বাকী শেষ দিনে আজ (রোববার) যাত্রী ও গাড়ীর চাপ তুলনামুলক কম। যাত্রীদের ফেরির জন্য আজ আর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। কোন রকম দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রীরা সহজে ফেরিতে ও লঞ্চে পারাপার হতে পারছেন। আজ সকাল থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিকে অন্যান্যদিনের চেয়ে আবহাওয়া ভাল থাকায় ও নদীতে প্রমত্তা পদ্মার উত্তাল ঢেউ বা স্্েরাত তেমন না থাকার কারণে ফেরিগুলো কোন বাধা ছাড়াই চলতে পারছেন। এতে সহজের ফেরি চলতে পারায় যাত্রী দুভোর্গ কম হচ্ছে। ঘাটকতৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ১৭টি ফেরি, চার শতাধিক স্পিডবোট, ৮৮টি লঞ্চ দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাট কতৃপক্ষ আরো জানায়, আজ ভোর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত গাড়ির চাপ একটিু বেশী হলেও এরপর থেকে চাপ কমতে থাকে। ঘাটের সংশ্লিষ্ট জানান, অন্যান্যদিনের চেয়ে আজ গাড়ীর চাপ নেই বলেলই চলে। তারপরেও যাত্রীদের থেকে থেমে আজ যে গাড়ীর চাপ তৈরী হয়, আবার কমে যায়। এই অবস্থা আজ সারাদিন বিকেল পর্যন্ত থাকতে পারে। এরপর আর ঘাট পরিস্থিতি একদমই স্বাভাবিক হয়ে আসবে এমনইটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘাটে আজও বড় গাড়ীর চেয়ে প্রাইভেট ও মাইক্রোর সংখ্যা বেশী।
এদিকে পণ্যট্রাকের দীর্ঘ জট আজও ছিল। কয়েকদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাক ঘাটে অবস্থান করায় ট্রাক চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে আজও ১৭টি ফেরি দিয়ে যান পারাপার করা হচ্ছে। গাড়ীর চাপ সকালের দিকে একটু বেশী ছিল। এখন আস্তে আস্তে কমে আসতাছে। এই অবস্থা বিকেল পর্যন্ত থাকতে পারে।