জমি সংক্রান্ত বিরোধে তুচ্ছ ঘটনায় ছোটভাই বড়ভাই আবুল কাশেম কাজল (৪৫) ডাক্তারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ আগস্ট রোববার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বরুন গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের পুত্র। কাজল স্থানীয় বিএনপি’র একজন সক্রিয় কর্মী ছিল বলে জানা গেছে। কাজলের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, গ্রাম্য ডাক্তার আবুল কাশেম কাজল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরুন বাজারে একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করতেন। পিতার মৃত্যুর পর বাড়ির কিছু জায়গা-জমি ও রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভাইদের মাঝে বিরোধ চলছিল। রোববার সকাল ৯টার দিকে কাজল বাড়ির পাশে তার জমিতে কাজ করতে গেলে আপন ছোটভাই রুস্তম আলী তাতে বাধাদেয়। চলাচলের রাস্তা নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রুস্তম আলী (৪০), তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫) ও পুত্র শাকিল (২০) তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। কাজলরা সৎ ভাইসহ ৪ ভাই ও ৫ বোন।
কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেপারী জানান, কাজল ডাক্তার ফাম্মের্সী ব্যবসার পাশাপাশি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিল। এলাকায় তার ব্যাপক সুনাম ছিল।
কাজলের স্ত্রী লাবনী আক্তার জানান, কাজল সকালে দোকানে যাবার আগে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে কাজ করতে গেলে পরিকল্পিত ভাবে ছোটভাই রুস্তম আলী ও তার পরিবারের লোকজন তার স্বামী কাজলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, মৃত কাজলের প্রতিবেশী তাজউদ্দীন ওরফে বাক্কা তাজউদ্দীনের প্ররোচনায় রুস্তম তার বড়ভাইকে হত্যা করেছে বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে। তারা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। তবে তাজউদ্দীনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতাবশত কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আপন বড়ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। মৃত কাজলের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।