উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুরে ঈদুল আজহার প্রধান নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে আটটায় রংপুর কেন্দ্রীয় কালেক্টরেট ঈদগাহ্ ময়দানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শুরুর পূর্বে খটখটিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি কাওছার আহম্মেদ নামাজ ও কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন। এরপর রংপুরের মানুষের প্রতি ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার একেএম তরিকুল ইসলাম, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। পরে খতিব মুফতি কাওছার আহম্মেদ ঈদের নামাজ পড়ান। এতে রংপুর মহানগরীসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বরাবরের মতো এবারও রংপুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে গঙ্গাচড়ার ঐতিহ্যবাহি তালুক হাবু ভুবন শাহী ঈদগাহ্ ময়দানে। এতে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় এক লক্ষাধিক মানুষ নামাজ আদায় করেন।
সকাল সাড়ে সাত থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭৫টি ঈদগাহ্ সহ বিভিন্ন এলাকার মসজিদ ও মাদরাসায় ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
রসিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু
এফএনএস (মমিনুল ইসলাম রিপন; রংপুর) : ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হয়েছে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় নগরীর শাপলা চত্বরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
উদ্বোধনকালে রসিক মেয়র বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গাড়ি ও ভ্যান নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সিটির ৬২৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে তিনটি জোনে ভাগ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই সকাল থেকে বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়েছি। যাতে সুষ্ঠুভাবে ২৪ ঘন্টার আগেই বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়, সেজন্য তদারকি করছি। সবার সহযোগিতা পেলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বর্জ্যমুক্ত রংপুর মহানগরী উপহার দেয়া সম্ভব হবে।’
এসময় রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসনে আজাদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেকেন্দার আলী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অঞ্চল প্রধান শাহিনুর রহমান শাহিন, মিজানুর রহমান মিজু, মোহাম্মদ হাসান রাহি, মেয়রের একান্ত সচিব কাজী জাহিদ হোসেন লুসিডসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রসিক সূত্রে জানা গেছে, ‘৭০টি রিক্সাভ্যান, ২৭টি বর্জ্যবাহি ট্রাক, স্টীল রোডার ২টি, ২টি পানি গাড়ির মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। প্রতিটি জোনে তিন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করছে। বর্জ্য অপসারণে নাগরিকদের সুবিধার্থে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ০১৭১৮৫৪৩১৫৭, ০১৭২৭৮৯৮১৯০, ০১৭২৩৮০৭৩৪৪, ০১৭৩৩৩৯০১৫০, ০১৭১৪৫৬৬৩৮৩ নম্বরে যোগাযোগ করে নগরবাসী কন্ট্রোল রুমের সহায়তা নিতে পারবেন। এবছর কোরবানির পশু থেকে অনুমানিক ২০০ টন বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা বর্জ্য নগরীর কলাবাড়ি, নাসনিয়া ও শরেয়ারতল এলাকায় ডাম্পিং করা হবে।