বগুড়ায় ঈদুল আজহার দিনে নিখোঁজ এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে সাব্বির রহমান শাওন (২০)নামের ওই কলেজ ছাত্রের লাশ উপজেলার নয়মাইল এলাকায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে স্থনীয় পুলিশ।
নিহত সাব্বির রহমান শাওন বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া সুফিপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিকপাশ করে।
আগের দিন রবিবার বিকালে জুতা কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হয়। নিহতের পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর পর তার লাশ ঘটনা স্থলে ফেলে যাওয়া হয়েছে।
নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান এর দাবী তার ছেলে এগের দিন রবিবার বিকালে ঈদের জুতা কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় বাবা যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পান। পরে তিনি প্রতিবেশি এবং ছেলের ঘনিষ্ট বন্ধু মিঠ নামের এক জনকে ফোন দিলে সে জানিয়েছিল শাওন তার সঙ্গেই আছে। ১০ মিনিটের মধ্যে সে বাড়ি ফিরবে বলে জানিয়েছিল ওই বন্ধু। রাত ১টা পেরিয়ে গেলেও শাওন না ফেরায় উদ্বিগ্ন বাবা-মা আবারও মিঠুকে আবারো ফোন দেন তারা।তখন মিঠু তাদের জানায়,সে শাওনকে শহরের আলতাফ আলী মার্কেটে রেখে এসেছেন। এরপর তার পরিবার সম্ভাব্য সব স্থানে শাওনের খোঁজ খবর করে তার খোঁজ মেলেনি।
ঈদের দিন (সোমবার) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশের গাড়িতে মুখ থেতলানো এক তরুণের লাশ দেখতে পান। তখন ছোট ভাই সাকিব সেন্ডেল দেখে লাশটি তার ভাই শাওনের বলে সনাক্ত করে।তবে পুলিশ তাদের জানায়, শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় ওই যুবক মারা গিয়ে থাকতে পারে।নিহতের পরিবারের জোরালো দাবী শাওন শহরে জুতা কিনতে গিয়েছিল। এত দূর নয়মাইল এলাকায় তার যাবার কোনো প্রশ্ন উঠে না।তাদের দাবী শাওনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সঙ্গত কারণে প্রশ্ন উঠতেই পারে, এটি নিছক দূর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ? শেষ খবর পর্যন্ত এ ঘটনায় স্থানীয় শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছিল।