ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি, মাংস বিতরণ আর রান্না-খাওয়ার উৎসবের আমেজে অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদ-উল আযহা উদযাপন করছেন বরিশালের মুসলিম পরিবারগুলো। দুপুর পর্যন্ত এ ব্যবস্থা থাকলেও বিকেল হতে না হতেই স্বজন-সন্তানদের নিয়ে বিনোদনকেন্দ্র মুখি হয়েছেন নগরবাসী।
ঈদের দিন বরিশালের কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ। যারমধ্যে রয়েছে-বঙ্গবন্ধু উদ্যান, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, কালিজিরা ব্রিজ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ব্রিজ, চৌমাথা লেকসহ কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। নগরীর বাহিরে বাবুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাসাগর, উজিরপুরের বায়তুল আমান (গুঠিয়া) জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, দোয়ারিকা-শিকারপুর ও পয়সারহাট সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রতœতাত্তিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদন প্রেমীদের ভিড় ছিলো চোখে পরার মতো। এ ছাড়া নগরীর আমানতগঞ্জের শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক, নগরীর বান্দরোড সংলগ্ন গ্রিন সিটি শিশু পার্ক ও প্লানেট ওয়ার্ল্ডে শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে কীর্তনখোলার তীরে ঘুরতে আসা মাহিনুর বেগম নামের এক কর্মজীবী নারী বলেন, ডেঙ্গু জ¦র আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তানদের সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছি। দর্শনাথীদের নিরাপত্তা দিতে কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কসহ বিভিন্ন স্পটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।