পবিত্র ঈদুল অজহার আনন্দ যেন ভ্রমণেই। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদন ভ্রমণ ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে বিল সৈকতগুলোতে পবিত্র ঈদে বিনোদন পিপাসুদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিল বিধৌত বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক,চাটমোহর-মান্নাননগর বিলসড়ক,চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কসহ অন্যান্য আঞ্চলিক বিল সড়কে হাজার হাজার বিনোদন পিপাসু নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর,তরুন-তরুনীর ভীড় ছিল। এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ। প্রতিদিনই ভীড় করছেন নারী-পুরুষ-শিশুরা। প্রচন্ড গরমে বিলপাড়ে একটু শীতল বাতাসের জন্য সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদন পিপাসুরা আসছেন এসকল স্থানে। গত মঙ্গলবার চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কর দরাপপুর ব্রিজ,বওশা ব্রিজ, ধরমগাছা ব্রিজ এলাকায় হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম হয়। বিল আর নদীর মিলনস্থলে ছবি উঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। দূরদুরান্ত থেকে নসিমন-করিমন,মোটর সাইকেল,অটোভ্যানযোগে নারী-পুরুষ বিনোদনের জন্য এখানে আসে।
এবার বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি আসায় বিলের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক ও মহাসড়কগুলো যেন নতুন সাজে সেজেছে। বিলের নির্মল বাতাসে কিছু সময় অতিবাহিত করতে অসংখ্য মানুষ আসে এ সকল সড়কে। এলাকাবাসী বিলের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সড়কগুলোর দু’পাশের বিলের নামকরণ করেছে ‘বিল সৈকত’। চাটমোহর উপজেলার বওশা ব্রিজ, ধরমগাছা ব্রিজ,দরাপপুর,বোয়ালমারী বিল,সমাজ বিলসহ বিভিন্ন বিল সৈকতে ঈদের দিন থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত অসংখ্য বিনোদন ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সমাগম ঘটে। এ ছাড়া ভাঙ্গুড়ার হাটগ্রাম বিল সৈকত ও বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের ১০ নং ব্রিজে হাজার মানুষের পদচারণা ছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ভ্রমণ পিপাসুদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও চৌকিদার টহলের ব্যবস্থা করে। অনেকে ঈদের দিন বিকেলে হান্ডিয়ালের দরাপপুর ব্রিজে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আগতদের সাথে। ছিল নৌ-ভ্রমণ। শ’শ’ মানুষ এতে অংশ নেন। পাবনা,সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে এসকল বিল সৈকতে ছুটে আসেন নানা বয়সী মানুষ। বিলের পানি আর বাতাস ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।