ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় দুবাসিয়া গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে ভাসুরের পরকীয়া নিয়ে সালিশ বৈঠক চলাকালে প্রতিক্ষের হাতে রফিকুল ইসলাম রহিত (৫৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টায় উপজেলায় টাঙ্গাব ইউনিয়নের দুবাসিয়া আহালিয়াটেক গ্রামে।
খবর পেয়ে পাগলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং ঘটনায় জড়িত উছমান আলী ও মুক্তা বেগম নামে গৃহবধূকে আটক করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় দুবাসিয়া আহালিয়াটেক গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী এখলাছ মিয়ার স্ত্রী মুক্তা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মন দেয়া নেয়া চলছিল প্রতিবেশী ভাসুর উছমান আলীর। মন দেয়া নেয়ার একপর্যায়ে মুক্তা বেগমের গর্ভে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। মুক্তা বেগমের গর্ভের সন্তানটি প্রবাসী এখলাছ মিয়ার নাকি ভাসুর উছমান আলীর। এনিয়ে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। ঈদের আগের দিন প্রবাসী এখলাছ মিয়া মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি আসেন। এখলাছ এলাকাবাসীকে জানান, মুক্তা বেগম তার স্ত্রী এবং গর্ভের সন্তানটি তার। অপরদিকে উছমান আলীও নাকি দাবি করেন মুক্তা বেগমকে সে বিয়ে করেছে। মুক্তার গর্ভের সন্তানটি তার। এনিয়ে মঙ্গলবার সকালে উছমান আলী তার বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উছমান আলী প্রবাসী এখলাছ আলীর চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম রহিতকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
টাঙ্গাব ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর জানান, পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রফিকুল ইসলাম রহিতকে খুন করা হয়েছে।
পাগলা থানার ওসি শাহীনুজ্জামান খান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে শাহানাজ বাদী হয়ে ৬জনকে আসামি করে পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িত আটককৃত উছমান আলী ও গৃহবধূ মুক্তা বেগমকে গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ আদালতে পাঁঠানো হয়েছে।