ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কালা মৃধা ইউনিয়নের ভাষড়া গ্রামে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত ভাষড়া বাজার পুন: প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাজারের ব্যাবসায়ী ও এলাকাবাসী।
ভাষড়া গ্রামবাসীদের আয়োজনে বুধবার সকালে বাজার প্রাঙ্গনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, কালা মৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস্কেন্দার আলীখলিফা, ডা. আলাউদ্দিন, ব্যবসায়ীইকবাল হোসেন, রিনা বেগম, ব্যবসায়ী সম্্রাটমিয়া, দবিরউদ্দিন খলিফা, মজিব ররহমান, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।মানবন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ভাষড়া গ্রাম থেকে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প প্রত্যাহার করে একই স্থানে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত ভাষড়া বাজারপুন: প্রতিষ্ঠার দাবী জানান।
কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস্কেন্দার আলীখলিফাবলেন, দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত ভাষড়া বাজারটি এই এলাকার হাজার হাজার মানুষের চাহিদা পুরন করে থাকে। এই বাজারের মাধ্যমে এলাকার উৎপাদিত কৃষিপন্য সহজে বেচা-কেনা করিয়া জীবনধারন করে আসছে। বাজারটি ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে এলাকার ৭০টি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে এবার পুন: প্রতিষ্টার দাবি জানান তিনি।
বাজারে রব্যবসায়ী দবিরউদ্দিন খলিফা বলেন, দীর্ঘদিনধরে এই বাজারে আমরা ব্যবসা বানিজ্য করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন ধারন করে আসছি। হঠাৎ করে গত ২১ জুলাই বিনা নোটিশে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ৩০টি স্থায়ী দোকান ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখন পথে বসে গেছি। পরিবার -পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাব পনকরছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ইকবাল হোসেন বলেন, সারা বাংলাদেশে ২৫০টির উপরে গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রামগড়ে উঠেছে কম জনবহুল এলাকায় এবং সরকারের পর্যাপ্ত খাসজমির উপরে। আর আমাদের এলাকাটি অধিক জনবহুল ও ঘন বসতি এলাকায় মাত্র ৪৫শতাংশ সরকারি জমির উপরে দীর্ঘদিনের বাজার উচ্ছেদ করে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা এলাকাবাসীর জন্য অত্যান্ত দুখ:জনক। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপকামনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই স্থানীয় প্রশাসন বাজার ব্যাবসায়ীদের কোনপ্রকার নোটিশ ছাড়াই দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত বাজারের ৩০টি স্থায়ী দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। ফলে বাজারের ব্যবসায়ীরাব র্তমানেমানবেতর জীবনযাপন করিতেছে।