মঙ্গলবার রাতে বগুড়া শহরের বহুল বিতর্কিত পকেটমার টানাপার্টির অভয়ারন্য এলাকা হিসাবে পরিচিত উত্তর চেলোপাড়া এলাকায় ব্যপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পকেটমার ও টানা পার্টির সন্ত্রাসী হামলা ও তান্ডবে গোটা এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকা মারামারির ঘটনা ও এলাকার কুখ্যাত পকেটমার টানাপার্টি ও সঙ্গবদ্ধ দাদন ব্যবসায়ীদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় দোকান পাট বস্বত বাড়ী ভাংচুর লুটপাট এর ঘটনা ঘটে। সেখানে ৩টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা সহ মারপিটে নারী পুরুষ সহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭জন। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, বগুড়া শহরের একটি পরিচিত ও বহুল বিতর্কিত টানা পার্টি ও পকেটমার গ্রুপের অভয়ারন্য এলাকা হিসাবে পরিচিত দক্ষিন চেলোপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে ব্যাপক সহিংতার ঘটনা ঘটে।
এফএনএস’এর অনুসন্ধানে জানা যায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার পকেটমার ও সঙ্গবদ্ধ টানাপার্টির দুই শতাধিক সন্ত্রাসী নারী ও পুরুষ বাহিনীর লোকজন সেখানে সমবেত হয়ে সঙ্গবদ্ধ ভাবে দোকানপাট বাড়ী ঘড়ে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষ প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।
আইনের প্রতি সামান্যতম সম্মান যাদের আছে এবং আইনশৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করে এমন কয়েকটি পরিবারের উপর এ সময় হামলা চালায় পকেটমার ও সঙ্গবদ্ধ টানা পার্টির সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন।
সেখানে বেপরোয়া হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে পকেটমার টানাপাটি গ্রুপের সশস্ত্র লোকজন। তাদে হামলার মুখে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রান ভয়ে পালিয়ে গেলে গোটা এলাকায় তীব্র আতং ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা সেখানে কমপক্ষে ৫/৬টি দোকান ও বাড়ী ঘড়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট চালায়। তারা পর্যায়ক্রমে দোকান ও বাড়ী ঘড়ে ঢুকে কমপক্ষে ৩টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। সেখানে ’আমির ষ্টোর’নামে একটি দোকান সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মূল্যবান সামগ্রী সহ নগদ ৫০/৬০হাজার টাকা লুট করা হয়। এ সময় দোকানের পেছনে রাখা ৩টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। তাদের বেড়ক মারপিটে আহত হয় আমিরুল ইসলাম ,রেজিয়া বেগম সহ কমপক্ষে ৭জন। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে রাফসান নামের এক যুবক।
এদিকে ঘটনার পর পর খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ীর একাধিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বগুড়া সদর সার্কেল ) সনাতন চক্রবর্তির নের্তৃতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য পৌছে সেখানে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেখানে পুলিশের এ্যাকশন শুরু হয়। পুলিশের এ্যাকশন শুরুর পর পর সেখান থেকে হাওয়া হয়ে যায় কুখ্যাত পকেট মার ও টানাপার্টি সহ এলাকার কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ীদের লিডার -গড ফাদার এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় নারুলী পুলিশ ফাঁড়ী পুলিশ এর সিথিলতা ও অবহেলা সহ স্থানীয় এক শ্রেণীর প্রভাবশালীদের পরক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে সমপ্রতি গোটা এলাকার পকেটমার ও টানা পাটির অরাজগতা ও তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা বগুড়া শহরে। যাদের অপতৎপরতায় গোটা বগুড়া শহর,আশ পাশের এলাকায় প্রতিদিন ডজন ডজন মানুষকে সর্বশ্রান্ত হতে হচ্ছে।
অভিযোগ ওই সব নামকরা পকেটমার ,টানা পার্টির গ্রুপের একাধিক সদস্যরা এই এলাকাতে থেকে তাদের চাঁদাবাজী সহ বিতর্কিত কার্যক্রম ও অপরাধ কর্মকা- পরিচালনা করে থাকে। হাজারো অভিযোগ বংশ পরমপরায় এলাকার ওই সব বাসিন্দা ওই বিতর্কিত লোকজনের বিরুদ্ধে। তাদের হাতে জিম্মি গোটা বগুড়া সহ দেশের রাজধানী এবং বিভিন্ন শহর। এখানকার নারী পকেটমার ও টানা পার্টিতে রয়েছে কমপক্ষে অর্ধশত সুন্দরী এবং বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নারী ক্যাডার।
অভিযোগ রয়েছে ,তাদের পরিধি বিশাল। কলিকাতা চেন্নাই দিল্লী সহ মোম্বাই শহরেও, তাদের কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। একই সাথে তাদের দাদন বাহিনী,যাদের মাধ্যমে প্রতিদিন শহরের কোটিপতি, লক্ষ পতিরাও সুদে টাকা নিয়ে থাকে।
এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হলেও এলাকার সাধারন বাসিন্দাদের মধ্য তীব্র আতং বিরাজ করছিল। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।