লক্ষ্মীপুরে সদরসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা। এর মধ্যে সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালীতে নেওয়ার পথে তার মারাযায় পরশ নামে ৪ বছরের এক শিশুর। এনিয়ে একই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আমির হোসেন নামের আরেক বৃদ্ধা। আমির হোসেন ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে শনিবার বিকেলে গ্রামের বাড়িতে আসেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৬টার দিকে তার মারাযায় আমির হোসেন। এছাড়া কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালীয়ার দাসপাড়া এলাকার শনিবার সকাল থেকে চার বছরের শিুশু পরশের জ্বর দেখা দেয়। পরে সোমবার বিকেলে একটি প্রাইভেট ডায়গনস্ট্রিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। দুই দিনেও জ্বর ভালো না হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালীতে নেওয়ার পথে পরশ মারাযায়। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় লক্ষ্মীপুর সদরে ১৩ জন ও রামগঞ্জে ১ জনসহ ১৪ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে লক্ষ্মীপুর সদরে ৩৯ জন ও রামগঞ্জে ২ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে,গত ১৮দিনে ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্য্র এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২০১ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে ১৬০ জন। আর ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪১ জন। তবে চিকিৎসকরা নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে ডা: কমলাশীষ রায় বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা কোনক্রুটি নেই। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনেকাংশ কমে আসবে বলে আশা করেন এ চিকিৎসকরা।
এদিকে মৃত পরশের খালু মো. ইব্রাহিম জানান, শনিবার সকাল থেকে পরশের জ্বর দেখা দেয়। দুই দিনেও জ্বর ভালো না হওয়ায় সোমবার বিকেলে ফেয়ার ফেয়ার ডায়াগনস্টিক নামে লক্ষ্মীপুরের একটি প্যাথলজিতে তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোরশেদ আলম হিরু। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ চিকিৎসক। পরে নোয়াখালী নেয়ার পথে রাত ১০টায় মারা যায় পরশ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর বেড না থাকায় গাদাগাদি করে ফ্লোরে থাকতে হয় রোগীদের। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এতে করে রোগী ও স্বজনদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্বজন তাছলিমা আক্তার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা।
অপরদিকে ভর্তিকৃত এক রোগীর স্বজন তারেক হোসেন জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সাথে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যা ঝুঁকিপূর্ণ।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও ভারপ্রাপ্Í সিভিল সার্জন ডা: নিজাম উদ্দিন জানান,গত ২৪ ঘন্টায় সদর হাসপাতালে ১৩ জন ও রামগঞ্জে ১জন ভর্তিসহ এ পর্যন্ত ২০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে রোগীদেরকে সর্বাত্বক চিকিৎসা দেয়া হচেছ। আতংক হওয়ার কিছু নেই।
ছবি আছে
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারাগেছে ৪ বছরের শিশুসহ ২ জন
লক্ষ্মীপুরে ডেঙ্গু আক্রান্তরা পাচ্ছেনা যথাযথ চিকিৎসা,স্বজনদের ক্ষোভ
এফএনএস (আতোয়ার রহমান মনির; রায়পুর, লক্ষ্মীপুর) :লক্ষ্মীপুরে সদরসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা। এর মধ্যে সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালীতে নেওয়ার পথে তার মারাযায় পরশ নামে ৪ বছরের এক শিশুর। এনিয়ে একই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আমির হোসেন নামের আরেক বৃদ্ধা। আমির হোসেন ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে শনিবার বিকেলে গ্রামের বাড়িতে আসেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৬টার দিকে তার মারাযায় আমির হোসেন। এছাড়া কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালীয়ার দাসপাড়া এলাকার শনিবার সকাল থেকে চার বছরের শিুশু পরশের জ্বর দেখা দেয়। পরে সোমবার বিকেলে একটি প্রাইভেট ডায়গনস্ট্রিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। দুই দিনেও জ্বর ভালো না হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালীতে নেওয়ার পথে পরশ মারাযায়। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় লক্ষ্মীপুর সদরে ১৩ জন ও রামগঞ্জে ১ জনসহ ১৪ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে লক্ষ্মীপুর সদরে ৩৯ জন ও রামগঞ্জে ২ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে,গত ১৮দিনে ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্য্র এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২০১ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে ১৬০ জন। আর ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪১ জন। তবে চিকিৎসকরা নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে ডা: কমলাশীষ রায় বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা কোনক্রুটি নেই। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনেকাংশ কমে আসবে বলে আশা করেন এ চিকিৎসকরা।
এদিকে মৃত পরশের খালু মো. ইব্রাহিম জানান, শনিবার সকাল থেকে পরশের জ্বর দেখা দেয়। দুই দিনেও জ্বর ভালো না হওয়ায় সোমবার বিকেলে ফেয়ার ফেয়ার ডায়াগনস্টিক নামে লক্ষ্মীপুরের একটি প্যাথলজিতে তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোরশেদ আলম হিরু। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ চিকিৎসক। পরে নোয়াখালী নেয়ার পথে রাত ১০টায় মারা যায় পরশ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর বেড না থাকায় গাদাগাদি করে ফ্লোরে থাকতে হয় রোগীদের। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এতে করে রোগী ও স্বজনদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্বজন তাছলিমা আক্তার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা।
অপরদিকে ভর্তিকৃত এক রোগীর স্বজন তারেক হোসেন জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সাথে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যা ঝুঁকিপূর্ণ।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও ভারপ্রাপ্Í সিভিল সার্জন ডা: নিজাম উদ্দিন জানান,গত ২৪ ঘন্টায় সদর হাসপাতালে ১৩ জন ও রামগঞ্জে ১জন ভর্তিসহ এ পর্যন্ত ২০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে রোগীদেরকে সর্বাত্বক চিকিৎসা দেয়া হচেছ। আতংক হওয়ার কিছু নেই।