খুলনার পাইকগাছায় কলেজছাত্রী অপহৃত ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মূল অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন পান্থকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
কলেজ ছাত্রীর পিতা উপজেলার গড়ইখালীর কুমখালী এলাকার দিন মজুর প্রেমেন্দু রায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, কুমখালীর প্রেমেন্দু রায়ের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে দীর্ঘনদিন যাবৎ রাস্তা-ঘাটে চলার পথে কু-প্রস্তাবসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল গড়ইখালীর স্কুল শিক্ষক শহিদুল গাজীর ছেলে কলেজ ছাত্র ফুয়াদ হোসেন পান্থ। স্থানীয় সূত্র জানায়, একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে একসময় সরে আসে কলেজ ছাত্রী।
সর্বশেষ ১১ আগস্ট ফুয়াদ হোসেন পান্থ কলেজ ছাত্রীকে একা পেয়ে তার বন্ধুদের সহয়তায় ছাত্রীকে জোরপূর্বক মটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে গড়ইখালীর একটি বাড়ীতে আনে। সেখানে তাকে বিয়ের প্রস্তাবসহ তোড়-জোড় শুরু করে বলে অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই মিন্টু মিঞা ১৫ আগস্ট রাতে ওই বাড়ী থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও পান্থকে আটক করে থানায় নেয়। এলাকাবাসী জানায়, পান্থর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের, ইতোপূর্বে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সর্বশেষ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা প্রেমেন্দু বাদী হয়ে পান্থ তার পিতা শহিদুল গাজী ও বাবু গাইনের ছেলে হৃদয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন, যার নং-১৯।
পাইকগাছা থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, পান্থ ও তার পিতা শহিদুলসহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আটক পান্থকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।