ঠাকুরগাঁয়েয়র রাণীশংকৈলে ভারতের মাওলানা সাদের অনুসারীদের উদ্যোগে আগামি ২২ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পৌর শহরের পাইলট উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা ইজতেমার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
এ ইজতেমার আয়োজক অনুসারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এবং কথিত ইজতেমা বন্ধের দাবীতে গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলার ওলামায়ে কেরাম তাবলীগের সাথী ও সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার ব্যনারে পৌর শহরের শিবদিঘী চৌরাস্তা মোড়ে প্রায় দুই হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চৌরাস্তার তিনটি মোড়ে মহাসড়ক ঘেষে প্রখর রৌদে দাঁড়িয়ে থেকে মানববন্ধন থেকে এ কথিত ইজতেমা বন্ধের দাবী জানায় প্রতিবাদকারীরা মুসল্লিরা।
এ সময় সংক্ষিপ্ত রাখেন জেলা তাবলিগের জিম্মিদার বদরুদদোজা কামাল মুফতি আবদুল মতিন মাওলানা আবদুল রাজ্জাক মাওলানা মো: মহমুদুল্লাহ, হযরতউল্লামাহ জামিল সাহেব মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমসহ প্রমুখ। বক্তরা মানববন্ধনে বলেন আগামি ২২ থেকে ২৪ আগস্ট এর ইজতেমার বিপক্ষে আমরা নই। তবে তাদের পন্থি ও কার্যক্রমের বিরুদ্বে অবস্থান নিয়েছি। তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্য দিচ্ছে তারা আল্লাহ ও নবীজি নিয়েকে কুটুক্তি সহ আলেম ওলামা মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের বিরুদ্বে বিষেদগার করছে তাদের বিরুদ্বে অপব্যাখা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ইসলামকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা তাদের সৃষ্টিপূর্ণ সংঘাতে জড়াতে চাই না বলেই জেলা প্রশাসক সহ উপজেলার ইউএওনও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রায় ২০দিন আগে স্মারক লিপি দিয়েছি ইজতেমার আয়োজন আইনিভাবে ব›েধর দাবী নিয়ে। বিক্ষাভ করেছি আবার মৌখিকভাবে ইজতেমার বিরুদ্বে অবস্থান জানিয়েছি। তারপরেও কিভাবে সাদের অনুসারীর পাইলট বিদ্যালয়ের মাঠে কথিত ইজতেমার আয়োজন করছে? এখানে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন? এ সময় বক্তরা সাদের অনুসারীদের আয়োজিত পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ২২ আগস্ট আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে এক বিশাল মহাসমাবেশের ঘোষনা দেন। সে হিসাবে একটি স্থানে দুইটিপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান প্রকাশ পেল। এতে আইনশৃঙ্গলা অবনতি হওয়ার চরম আশাংকা করা যাচ্ছে।উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমার মাঠে নিরীহ উলামা- মাশায়েখ, মাদরাসার ছাত্র ও তাবলীগের সাথীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় এই সাদপন্থি অনুসারীরা বলে দাবী করেন আলেম ওলামারা।