সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লীকেরপাড়া গ্রামের এক মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোরে মসজিদের পাশ^বর্তী ইমামের শয়ন কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইমামের নাম মোঃ দিদারুল ইসলাম। সে মল্লীকেরপাড়া এলাকার নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম। সে খুলনার তেরখাদা থানার রাজাপুর গ্রামের আবতাফ ফরাজির ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত কিছু বলতে পারেনি। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে বলে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান।
পুলিশ জানায়, মসজিদের নিহত ইমামের দিদারুল ইসলাম গত ২৬ জুলাই মল্লীকেরপাড়া গ্রামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি পাশ্ববর্তী ছোট কাজীরগাঁও গ্রামের মসজিদের ঈমামের মাধ্যমে এ চাকুরিতে যোগদান করেন। নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের মুসল্লিরা জানান, ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ট্রেনিংয়ের কথা বলে সে ছুটিতে যায়। গত শুক্রবার পুনরায় মসজিদে যোগদান করে জুমার নামাজ পড়ান। এরপর আবার ট্রেনিংয়ে চলে যায়। এরপর আবার মঙ্গলবার এসে এ মসজিদে মুসল্লীদের আসরের নামাজ পড়ান। গতকাল বৃহস্পতিবার ফজরের সময় মুসল্লীরা নামাজে এসে ইমামকে না পেয়ে নিজেরাই নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসল্লীরা ইমামের শয়ন কক্ষে ফ্যানের শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গেলে ওই ঘরে ইমামের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ পাঠায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মল্লীকেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের সময় ইমাম নামাজ পড়াতে মসজিদে না আসায় আমরা মনে করেছি তিনি বাড়িতে চলেগেছেন। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফ্যানের শব্দ শুনে ইমামের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলে বাইরে থেকে শিকল দেওয়া দরজা খুলে ইমামের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, দুর্বত্তরা মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যার করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে চলছে।