সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলের হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, বিআরটিসি বাস বন্ধে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আগামীকাল থেকে যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মানুষের সেটা ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষকে জিম্মি করার শামিল। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে তারা এই অযৌক্তিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিন। পরিবহন মালিক শ্রমিকরা আমাদেরই সন্তান, আমাদের ভাই আমাদের স্বজন, আপনাদের আহ্বান জানানাবোআপনারা মানুষের মুখোমুখি দাড়াবেন না। ব্যবসা করবেন অবশ্যই করেন। কিন্তু মানুষের মুখোমুখি আপনারা দাড়াবেন না। মানুষের শক্তির কাছে কোন অপশক্তি কখনো বিজয়ী হতে পারে নাই। সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। মানুষ সরকারি এই সেবাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু পরিবহন মালিকরা তাদের সেবার মান বৃদ্ধি না করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে এই সেবা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন, যেটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস বন্ধে পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যদি তাদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার না করেন তবে মানুষের যাতে চলাচলের অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রশাসন সবধরণের যান চলাচলে স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাই।
রবিবার দুপুরে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সাধারণ যাত্রীদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন বাস চলাচল বন্ধেরও দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিজন সেন রায়ের সভাপতিত্বে এবং মাসুম হেলাল ও শামস শামীমের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. চাঁন মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সেফু, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানন ইয়াকুব বখত বহলুল, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনির উদ্দিন, জেলা জাপার যুগ্ম সম্পাদক রশিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট এনাম আহমদ, শিমন চৌধুরী, শহীদনূর আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস বন্ধে আগামীকাল সোমবার থেকে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন।