বাকেরগঞ্জের পারশিবপুর গ্রামের গৃহবধূ নুপুর বেগম হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সন্ত্রাসী শহীদ দফাদারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার সকাল ১০ টায় বাকেরগঞ্জ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুপুর হত্যা চেষ্টা মামলার বাদী ও তার স্বামী মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নুপুরের শ্বশুর আহমেদ হাওলাদার হত্যা মামলার বাদী মোঃ দুলাল হাওলাদার, বাদীর মামা মোঃ হাশেম চৌকিদার, নুপুরের পিতা আবদুল বারেক হাওলাদার ও বাদীর ভগ্নিপতি ইউসুফ হাওলাদার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্ত্রী নুপুর বেগম সহজ ও সরল প্রকৃতির গৃহবধূ। উপজেলার পারশিবপুর গ্রামের সন্ত্রাসী শহীদ দফাদার ২০১৭ সালের ৬জুলাই তার পিতা মোঃ আহমেদ হাওলাদারকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তার বড় ভাই মোঃ দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে শহীদ দফাদারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২। ওই মামলায় তিনি দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগ করে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেন। জামিন নিয়ে এসেই তিনি বাদি ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে খুন-জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এমনকি সন্ত্রাসী শহীদ দফাদার তার সুন্দরী শ্যালিকা নুপুর বেগমকে তার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি না হলে তাকেও খুন জখমের হুমকি দেয় শহীদ দফাদার। লিখিত বক্তব্যে নুপুর বেগমের স্বামী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, হুমকি দেয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী নুপুর বেগম বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যে কারণে সন্ত্রাসী শহীদ দফাদার তার স্ত্রীকে নুপুর বেগমের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে অবশেষে চলতি বছরের ২০আগস্ট সকাল সাড়ে ৭ টার সময় তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় আহত গৃহবধূর স্বামী মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বাকেরগঞ্জ থানায় ২১ আগস্ট একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২১। মামলা দায়েরের করে অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও আসামি শহীদ দফাদারকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। হত্যা চেষ্টার মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসী শহীদ দফাদারের খুটির জোর কোথায়? এ ঘটনায় থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। অপরদিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান পারশিবপুর গ্রামের মত সিকদারের পুত্র হারুন সিকদার মৃত মহব্বত আলী চৌকিদারি পুত্র খাইরুল ইসলাম ও মোক্তার আলী খানের পুত্র পারভেজ কামালরা এ ঘটনার সাথে জড়িত। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের এ ক্ষোভ যে কোন সময় বিক্ষোভে রুপ নিতে পারে। এলাকাবাসী অবিলম্বেসন্ত্রাসী শহীদ দফাদারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।