বাবা-মায়ের অনুপ্রেরনা আর নিজের অদম্য ইচ্ছে শক্তির কাছে হার মেনেছে দারিদ্রতা। সকল বাধা উপেক্ষা করে চলতি বছর অনুষ্ঠিত এইচ,এসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে শাকিল মন্ডল। বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী শাকিল মন্ডলের বাড়ি উপজেলার মেরুরচর গ্রামে। তার বাবার নাম সাধু মন্ডল। তবে দারিদ্রতার কষাঘাতে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচ,এসসি পরীক্ষায় উপজেলার একমাত্র জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য এই মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানাযায়,বাবা দিনমজুর,আর মা গৃহিনী। বাড়ী-ঘর ছাড়া নেই কোন জমিজমা কিংবা আয়ের কোন উৎস। দিনমজুর বাবার সামান্য আয়ের উপর নির্ভর করে কোন রকম চলে দু,বেলা খেয়ে না খেয়ে। অভাব অনটনের সংসারে যেখানে নুন আনতে পানতা ফুড়ায় সেখানে ছেলের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বিপাকে শাকিলের দরিদ্র বাবা-মা। শাকিলকে নিয়ে অনেক স্বপ্নও ছিল বাবা সাধু মন্ডলের। কিন্তু অর্থের অভাবে তাসের ঘরের মতো সে স্বপ্ন ভেঙে যেতে বসেছে তার।
স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে মেধাবী শিক্ষার্থী শাকিল মন্ডল জানায়,বাবা-মা, কলেজের স্যাররা আমাকে দারুনভাবে উৎসাহ সহযোগীতা ও অনুপ্রেরনা দিয়েছেন। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। জিপিএ-৫ পেলেও এখন দুঃচিন্তায় ভুগছি। আগামি ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু। ঢাকা, জগন্নাথ,জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের ফরম তুলেছি। এখন্ত পর্যন্ত গাড়ি ভাড়ার টাকা যোগাড় করতে পারিনি। জানিনা শেষ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা। তবে সূযোগ পেলে লেখাপড়া করে ব্যাংকার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
শাকিল মন্ডলের বাবা সাধু মন্ডল জানান,অনেক স্বপ্ন ছেলে আমার বড় কর্মকর্তা হবে। কিন্তু আমাদের মত গরীবের স্বপ্ন দেখতে নেই। টাকার অভাবেই হয়তো ছেলেকে পড়াতে পারবো না। তবে ছেলের ইচ্ছে পুরণ করতে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
মেরুরচর হাইস্কুলের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এম.শাহীন আল আমীন বলেন,শাকিল মন্ডল বকশীগঞ্জের কৃতী শিক্ষার্থী। দারিদ্রতার কাছে শাকির মন্ডল যাতে হেরে না যায়। তার লেখাপড়ায় সহযোগীতার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
প্রয়োজনে- (০১৬২৪৩৮১৮৪৮ শাকিল মন্ডল)।