লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভুলুয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এক মাস ধরে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভুলুয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বসতভিটি ও গাছপালা রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করে বালু উত্তোলনের বন্ধের জন্য দাবী জানান স্থানীয়রা। এ সময় বালু উত্তোলন বন্ধসহ জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে উপজেলা চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা এলাকার ভুলুয়া নদী এলাকা থেকে পাঁচটি ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চল্লেও, উপজেলা প্রশাসন তা জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি এক মাসেও। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর আশপাশের প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি-ঘর, গাছপালা ও চরবসু সড়কের অর্ধকোটি টাকার ব্রীজও রয়েছে হুমকিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.সিরাজ,ফারুক,হারুন ও বেলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ভুলুয়া নদীর পারে তার সামান্য এক খন্ড ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে চিন্তিত আছেন তিনি। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে যে ভাবে পাড় ভাংছে তাতে এক খন্ড জমিসহ বাড়ী-ঘর কখন জানি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় চেয়্যারম্যান,মেম্বার ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পর ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন বলছেন,বিষয়টি তিনি অবহিত আছেন। আর কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি জানান, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভুলুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মানুষের জমি ও ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাবে এসকল কর্মকান্ডের বিরোধিতা কথা জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে একমাত্র জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা হলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে বলে জানান তিনি।