রক্তের মধ্যে বোশেখী চাঁদ
বৃষ্টির ভিতরে তুমি কি দেখতে পাও মেঘের শরীর?
অথচ- মেঘ ছাড়া বৃষ্টিধারা নেই।
জলপতনের মতো বাহারী শব্দের প্রত্যক্ষ
প্রমাণও যদি না থাকে তবে দেখবে-
আকাশে মেঘ আছে, ঝড় আছে, বিদ্যুৎ চমক
তাও আছে ঈশানে নৈর্ঋতে,
এইতো সময়। অন্তরালে আমায় এবার
শুভ্র বাহারি রঙয়ের পোষাক দান করো বৈশাখী উৎসবে,
আমার গোপন সিন্দুক ভেঙ্গে সমস্ত কোমল রত্ম হাতে তুলে দাও,
হাত ধরে নিয়ে চলো অবিরত ঢেউ তোলা বৃত্তের প্রাঙ্গনে।
আমার শীতল হাত তোমার কোমর ছুঁয়ে নিতম্বে লম্বিত হলে
আদিম ডাক বেজে উঠবে ¯œায়ুর কোটরে
রক্তবিন্দু জ্বলে উঠবে তরল স্পৃহায়,
তোমার রক্তের মধ্যে বোশেখী চাঁদ হয়ে খেলা করে যাবো।
মন খারাপের কবিতা
মন খারাপের কবিতা লিখতে যাবো, দেখি মন ভালো হয়ে গেছে
নষ্ট, রুদ্র আকাশের রুপে পালটিয়ে ছেলেমানুষের ভিড় আজ ঐখানে
বেলচা-বেলচা হাওয়া কাব্য ছু’ড়ে দেয় ঘরের পাঁচটা জানালায়
কোথা থেকে একতাল বেগুনী রঙের সুতো জানালায় গ্লিল আঁকড়িয়ে
লুটোপুটি শুরু করে
ও কী সুতো না কি স্কুলের পোশাক-পরা মজার শিশুরা-
এ সবের মতো তুমিও কখন চলে এসেছো। আমার ভাবনার ভস্মঢালা,
মিশমিশে দিনগুলো পার হয়ে
এসেই আমার মধ্যে হুলস্থুল শুরু করে দাও
শুধু যে চেয়ারে বসে তুমি কাজ কিংবা গল্প করো,
তার পাশ দিয়ে আমাকে প্রায়ই হেঁটে যেতে হয়
সুসময় চলে যায় আর সভ্যতাকে হেঁটে যেতে দেখে
মরুভূমি, মহাসমুদ্র, দুমেরু Ñ
তোমার দু’চোখ সবুজের হাতছানি, নিটোল ঝিনুক নাকি
তুষারের মধ্যে এক জলাশয় যা কখনও বরফ হয় না
ঐ সসত উস্মুখ ঠোঁট, আঙ্গুল তৃষিত সেতারের মতো গ্রীবা,
আলোয় আড়ালে রাখা স্তন
কেন কাটাবে নিছক আরও অপেক্ষায়-
আজ মন খারাপের কবিতা লিখতে গিয়ে এই
মন ভালো হওয়া মুহুর্তে তোমাকে উপহারে পাঠালাম,
অপরিচিতা আকাশ প্রেমিক।