সৈয়দপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৮ আগস্ট কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পন্ড হয়ে যায়। পরবর্তীতে একটি গ্রুপ ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ ১১ জন নেতাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে ওই আওয়ামী লীগ নেতারা পুলিশি হয়রানী এড়াতে এলাকা ছেড়েছে। মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে গত ৭ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় নির্বাচনের দিন সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি রাবেয়া আলীম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তারই উপস্থিতিতে অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চলে। হঠাৎ করে প্রিজাইডিং অফিসারকে আহত করে সেখান থেকে ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। খবর পেয়ে সেখানে থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ছুটে আসে। এ ঘটনার পরে মিথ্যে নাটক সাজিয়ে প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান থানায় মামলা দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য বলেন, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ আলী, ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাদের আলী, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়া মাস্টার, সদস্য নন্দ বাবু, ৫নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি বুলবুল হক চৌধুরী, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি নজির হোসেন, ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবদুল হক, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু রায়হান চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরীসহ অনেকে। তারা আরও বলেন, নির্বাচনের দিন ওই মোজাম্মেল হকের বাহিনী ভোটারদের রাত ৪টা পর্যন্ত জিম্মি করে রাখে। তারা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।