রাজশাহীর মোহনপুরে কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন (২১) প্রেমিক মাহাবুর রহমানের আপন মামা-মামি ভূয়া অভিভাবক সেজেই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালে নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে এমটি তথ্য বের হয়ে আসে। মোহনপুর থানার পুলিশ এজারভুক্ত আসামি প্রেমিকের মা মফেজান বেগমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিছে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিমসহ তার পরিবারের সদস্যরা ও মামা সাইদুর রহমান মাষ্টার তার স্ত্রী নাসরিন বেগম পলাতক রয়েছে।
গতকাল শনিবার মোহনপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামে গিয়ে মৃত কলেজছাত্রীর বাবা বদর উদ্দিন, মা জাকিয়া বেগম, চাচাতো ভাই জাকিরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তার বোন কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন কলেজে যাওয়ার কথা বলে তিন সেট পোষাক ও স্বর্ণের অলংকার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাস্তা থেকে একই উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে প্রেমিক মাহাবুর রহমান কলেজছাত্রীকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই সময় পরিবারের সদস্যসহ মামা-মামিও ছিলেন। কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক মাহাবুর রহমানসহ মা-বা বোন-দুলাভাই মামা-মামি মারপিটসহ অমানুষিক নির্যাতনের পর জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেন প্রেমিক মাহাবুর রহমান। কলেজছাত্রীর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক মাহাবুর রহমানের মামা সাইদুর রহমান মাষ্টার ও মামি নাসরিন বেগম জরিনা খাতুনকে নিজের মেয়ে সাজিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। কলেজছাত্রীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের লোকজন খবর পেলে ভূয়া অভিভাবকরা পালিয়ে যান। প্রেমিক মাহাবুর রহমান ছিলেন প্রেমিকা জরিনা খাতুনের ফুফাতো ভাই। হাসপাতালে ভর্তিকারিরা ছিলেন মাহাবুর রহমানের মামা-মামি ও নিহত জরিনা খাতুনের চাচা-চাচি। ওই সূত্র ধরে প্রায় সময় প্রেমিক মাহাবুর রহমান তার প্রেমিকা মামাতো বোন জরিনা খাতুনকে নিয়ে সাইদুর রহমান মাষ্টারের বাড়িতে সময় কাটাতেন। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক মাহাবুর রহমান, বাবা আবদুল মান্নান, বোন শিউলী বেগম শিখা, দুলাভাই এনামুল হক, মামা সাইদুর রহমান, মামি নাসরিন বেগম পলাতক রয়েছে।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, মামলার পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।