রাজশাহীর তানোর উপজেলায় রহমান কোল্ড ষ্টোরে এক আলু চাষী কৃষককে আটকে রেখে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে। তানোর থানা পুলিশ খবর পেয়ে কোল্ড ষ্টোর থেকে ওই কৃষককে উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় আলুচাষী কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের স্বীকার আলুচাষী কৃষক তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার চাপড়া গ্রামের ইয়াসিন আলীর পুত্র আলু চাষী এমদাদুল হকের কাছ থেকে ষ্টোর কর্তৃপক্ষ ৩শ’টাকার ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংকের ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে ৬০ হাজার টাকা লোন দেন। লোন নিয়ে কৃষক এমদাদুল ৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করে ওই ষ্টোরেই ষ্টোরজাত করে রাখেন। (আজ) গতকাল শনিবার আলু চাষী এমদাদুল হক তার আলু বিক্রির জন্য ষ্টোরে গেলে রহমান কোল্ড ষ্টোরের জিএম আবদুল হালিম কৃষক এমদাদুলের কাছে লোনের টাকা চাইলে এমদাদুল আলু বিক্রি করেই টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত জানান। এ সময় রহমান কোল্ড ষ্টোরের জিএম আবদুল হালিম অন্য কৃষকদের সামনে আলুচাষী এমদাদুলের কান ধরে টেনে ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন এবং তাকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে ঘরে আটকে রাখেন। এ সময় খবর পেয়ে তানোর থানার এসআই আবদুল হামিদ সংগীয় ফোর্সসহ কোল্ড ষ্টোরে গিয়ে কৃষক এমদাদুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে রহমান কোল্ড ষ্টোরেজের জিএম আবদুল হালিম বলেন, এমদাদুলের কাছে টাকা পাওনা রয়েছে, টাকা আদায়ের একটু আধটু এসব করতে হয়, জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ষ্টোর থেকে ওই কৃষককে উদ্ধার করা হয়েছে, এ ঘটনায় কৃষক এমদাদুল বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া প্রকৃয়া চলছে।