বাউফলে একটি মামলার বাদিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আসামি পক্ষের লোক জন। নিহত ব্যক্তির নাম কবির বয়াতি (৪৫) কনকদিয়া ইউপির কুম্ভখালি গ্রামে তার বাড়ি। শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুদ্দুস হাওলাদার নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, একই এলাকার কুদ্দুস হাওলাদার ও খালেক মোল্লা গংদের সাথে একটি রাস্তা নিয়ে তাদের বিরোধ হয়। এর জের ধরে গত ২০ জুলাই রাতে তার স্কুল পড়-য়া ছেলে সজিব হাওলাদারকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় ২৬ জুলাই তার স্বামী কবির বয়াতি বাদি হয়ে কুদ্দুস হাওলাদারসহ কয়েকজনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর থেকে মামলা প্রত্যাহারে জন্য আসামিরা তার স্বামীকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তার স্বামী কবির বয়াতি জমিজমার কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের বগা বন্দরস্থ বাড়িতে আসার পথে প্রতিপক্ষ কুদ্দুস বয়াতির সাথে তার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সরোয়ার, খালেক মোল্লা, মজিবুর মোল্লা, কামাল মোল্লা, রানা হাওলাদার, সজল হাওলাদার, আবু হাওলাদার ও নুরুল চৌকিদার তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা কুপিয়ে জখম করে।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের মোবাইল ফোনে এ ঘটনাটি বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানকে অবহিত করলে তার নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত কবির বয়াতিকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ জানান, তার হাতে পায়ে ও মাথায় গুরুতর জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত হয়।
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুদ্দুস হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।