নিরীহ মানুষ যেখানে যায়, সেখানেই ঘুষ এর ভয়াল রুপ দেখতে পায়। মানব সমাজে উন্নয়নের এক বিশাল বাধা ঘুষ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা দেশবাসী সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত দূর্নীতি ও ঘুষে। হাত-পা বাড়ালেই, চারদিক তাকালেই যেন ঘুষ এর খেলা। বিশেষ করে সরকারি মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর গুলোতে ঘুষ যেন ভাতের সাথে তরকারির মত সাধারন বেপার। কিছু কিছু কর্মকর্তা আছেন, কোন কাজ নিয়ে গেলেই সরাসরি টাকা দাবি করেন, যেন ঘুষ নেওয়া তাদের মৌলিক অধিকার। কেউই কর্তাকে খুশি রাখেন ১০ জনের ক্ষতি করে, আবার কেউ কর্তাকে খুশি করতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। আর অপরদিকে প্রতিভাবান কিংবা যোগ্য প্রাপক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর রাষ্ট্র হারাচ্ছে মেধাবী কর্মী বা কর্মকর্তা। এভাবে চলতে থাকলে সরকারী মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর গুলো ধ্বংস হয়ে যাবে,সঙ্গে দেশও জাতির ভবিষ্যত। নইলে যেমন ক্ষতি হচ্ছে রাষ্ট্রের তেমনি সরকারি মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর গুলোরপ্রতি আস্থাহীন হবেন সাধারন মানুষ। যেসকল কর্মকর্তা কর্মচারী দূর্নীতি ও ঘুষের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং দূর্নীতি দমন কমিশনকে আরো কঠোর হতে হবে। দুদককে আরও বেশি পাওয়ার/ক্ষমতা দিতে হবে। নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা। আবার দুদক যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সরকারের বিশেষ নজরদারী বাড়াতে হবে। তাই সর্বশেষ পুলিশ নিয়োগে একশত তিনটাকায় চারকী প্রসংশিত ও আলোচিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের ঘোষনা দিয়েছে তার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন নতুন কৌশল প্রণয়ন করে