বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা গাইবান্ধা জেলার বৃহত্তর সামাজিক সংগঠন গোবিন্দগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম রফিক গত ১১ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় প্রকাশর্থে এক বিবৃতিতে বলেছেন,সম্পতি তেল,গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক্ষ আনু মুহাম্মদ কে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধীতা করেছেন।
সরকারের এ সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধীতা একমাত্র আনু মুহাম্মদ করেন নাই আরো অনেকেই করেন।
ইউনোস্কো তাদের বিশেষজ্ঞদের অনুসন্ধান রিপোর্ট ২৪শে সেপ্টেম্বর একাধিক পত্রিকায় লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছেন,রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের উপর অর্থ নৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে। জল বায়ুরও ধসংসাত্বক পরিবর্তন হবে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি।উচ্চতর চিমনির নিরগত গ্যাস বায়ু মন্ডলের বাতাস দূষিত করবে।
প্রতি ঘন্টায় ৫ হাজার কিউবিক মিটার পানি নদী থেকে তোলা হবে এবং ব্যবহারের পর দূর্ষিত অবস্থায় সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া হবে।
এতে সুন্দরবনের পানি দূর্ষিত হবে।জলজ্য প্রাণীর অস্তিত্ব ধবংস হবে,জাহাজ চলাচলের জন্য নতুন করে নদীর নাব্যতা সৃষ্টি করতে হবে।এ জন্য নদীকে ড্রেজিং করতে হবে প্রায় অর্ধকোটি কিউবিক ফিট মাটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের অপূরনীয় ক্ষতি হবে।জাতিসংঘের বিজ্ঞান শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনোস্কো বাংলাদেশকে সুপারিশ করছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সুপারিশ মানা না হলে ২০১৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিশন এর সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ একজন দেশ প্রেমিক তিনি আপাতত ক্ষমতা দখলে রাজনীতি করছেন না।তিনি জাতীয় জিবনের সমুহ সমস্যার সমাধান পেতে চান আর তাই আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এর মত একজন শিক্ষক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদকে হত্যার হুমকি দাতার পিছনে নিশ্চই বড় কোন শক্তি লুকায়িত।
অতএব সরকারে উচিত হুমকি দাতাকে অনতিবিলম্বে খুজেবের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচারের মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করা।অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সহ দেশের সকল নাগরিক ও তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্ধ রক্ষা জাতীয় কমিটির সকল আন্দোলনকারী ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধানে সরকারের নিশ্চই অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই।
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করে চলেছে আজ অবস্থাটাই এমন যেনো যে যত বড় সন্ত্রাসী সে তত বড় নেতা।
রাষ্ট্র জুড়ে যেন সন্ত্রসী গডফাদারদের ই কর্তৃত্ব। আর তাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশ মনে রাখা উচিত পেশি শক্তির দাপট বিচারহীন হত্যার অপরাজনীতি দলীয় করন শোশন নিপীড়নের রাজনীতি রাষ্ট্র ও জনগনের কোনো মঙ্গল বয়ে আনে না কিংবা আনতে পারে না। ভারসাম্যহীন ক্ষমতা কিছুকাল কার্যকরী থাকে চিরদিন নয় কথায় আছে সাপুড়ের মৃত্যু নাকি সাপের কামড়েই হয়। প্রকৃতির প্রতিশোধ বরই নির্মম ইতিহাস তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে সে দিন নির্বোধ ঐ ধারাগুলোতে আবার মাথা গোজাবে সেদিনন কেউ তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।প্রতিশোধ তারা নেবেই সেদিন হয়ত কোন নেতারও প্রয়োজন হবেনা।সময় নিজেই নেতৃত্বের ভূমিকায় অবত্তীর্ন হবে এটাই চিরায়ত এটাই ইতিহাস।