যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী মোর্তজা ছোট, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। যশোর কোতয়ালি থানার এসআই মাহাবুব হোসেন তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে যশোর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সময় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে। এরপর মনিহার এলাকায় এসে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে দুটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ৫টি তাজা বোমাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানার এসআই এইচ এম মাহমুদ মামলা করেন।
চার্জশিটে অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার রাশেদ আব্বাস রাজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, যুবদল নেতা রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয়, রাজিবুল ইসলাম রিপন চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুমন ওরফে প্রেসিডেন্ট সুমন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন ওরফে বেড়ে মারুফ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, সিনিয়র সহ সভাপতি নির্মল কুমার বিট, ঘোপ জেলরোড এলাকার মোকছেদ আলী, সদর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, নতুন উপশহর এলাকার বিল্লাল হোসেন রুবেল, জাহিদ হোসেন, যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনি, এইচ এম এম রোডের আলমগীর হোসেন বাবু, ঝুমঝুমপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন, হাশিমপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন বাদল, খালধার রোডের আশরাফ আলী বদর, আজগর হোসেন, এইচ এম এম রোডের মোহাম্মদ সেতু, সিতারামপুর গ্রামের খলিলুর রহমান, পূর্ববারান্দীপাড়ার শহিদুল ইসলাম টগর, ফারুক হোসেন, সোহানুর রহমান জাহিদ, লোন অফিসপাড়ার দেবাশিষ দাশ, ষষ্টিতলা রেলকোয়ার্টার এলাকার রবিউল ইসলাম রবি, চাঁচড়া রায়পাড়ার সুমন চৌধুরী, মোস্তফা কামাল শিপা, শংকরপুর এলাকার জাকির হোসেন, ঘোপ জেল রোডের ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন, কাজল, বাবু, সানিয়াত আরিফ নয়ন, লেবুতলা গ্রামের মহব্বত আলী মন্টু, মাছবাজার এলাকার রকিব উদ-দৌলা, উপশহরের জামিন হোসেন রনি, রেলগেটের খাইরুল বাশার শাহীন, আর এন রোড এলাকার মাসুদুর রহমান সোহাগ, নলডাঙ্গার রিয়াজ খান মিন্টু, স্টেডিয়াম পাড়ার মোস্তফা জেম ও বালিয়াডাঙ্গার কামাল হোসেন বাবু। একই সাথে এ মামলা থেকে সিটি কলেজ পাড়ার শহিদুল ইসলাম বাবু ওরফে পার্টস বাবুকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়।