বর্ষার নতুন পানির আগমনের সাথে সাথে খাল-বিল, নদ-নদীতে দেখা মেলে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আনাগোনা। আর এসব মাছ ধরতে প্রয়োজন হয় বাঁশের তৈরী চাই, ঘূর্নি বা দুয়ারীর। চিংড়ি সহ ছোট মাছ ধরতে এসব চাইয়ের রয়েছে প্রচুর চাহিদা। এ শিল্পকে কুটির শিল্পের সাথে তুলনা করেন হস্তশিল্প কারিগররা। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার গোয়ালন্দ ষ্টেশন সংলগ্ন বাজারে জমে উঠেছে এসব মাছ ধরার যন্ত্রের হাট। । প্রতিদিন এ হাটে হাজার হাজার মাছ ধরার চাই খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ যন্ত্র কিনতে আসেন ব্যাপারী ও জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমান বলেন ,সাধারনত বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে বাশের তৈরী চাই বা দুয়ারী ব্যবহার করে থাকে আর জেলার গোয়ালন্দে এই চাইয়ের হাট বসে।যেখান থেকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা চাই ক্রয় করে চিংড়ি মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ধরতে এই চাইয়ের হাট বসে। এ চাই বা দুয়ারী যারা তৈরী করেন তাদেও কাছ থেকে যারা ছোট মাছ ধরেন তারা কিনে নেন বাজার থেকে এই মৌসুমে এ দুই শ্রেনীর মানুষ ছোট মাছ আহরন কওে জীবিকা নির্বাহ করেন ।
গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু পরিবার চাই, ঘূর্ণি ও দুয়ারী তৈরির সাথে জরিত। বছরের বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস তারা এসব মাছ ধারার যন্ত্র তৈরির কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন জাতের বাঁশ দিয়ে এ যন্ত্র তৈরি করেন তারা। একটি বাঁশ দিয়ে ৬০ থেকে ৭০টি চাই তৈরি করা হয়, তবে একজন শ্রমিক একদিনে ১০ থেকে ১২টি এবং প্রকার ভেদে আরো বেশি চাই তৈরি করতে পারেন । গোয়ালন্দ বাজারে প্রতি শনিবার ও বুধবারে হাটে এ মাছ ধরার যন্ত্র চাই দুয়ারী বিক্রির জন্যে হাটে আনেন বিক্রেতারা। বাজারে মান ভেদে এসব ১০০শত চাই ৪হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিটি চাই ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এসব যন্ত্র তৈরির প্রতিটি বাঁশ কেনেন ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। এ যন্ত্রে ছোট মাছসহ চিংড়ি মাছ বেশি আটকা পড়ে।
ব্যাবসায়ীরা বলেন, তারা এসব চাই বাজার থেকে কিনে দুর দুরান্তের বিভিন্ন জেলায় ব্যবসায়ের জন্যে পাঠান। আবার কেউ কেউ জেলা ও জেলার বাইওে থেকে এসে এই মাছ ধরার চাই কিনে নেন বিক্রির জন্যে।বিক্রেতারা বলেন, বিভিন্ন জেলার জেলেরা ও ব্যবসায়ীরা এ বাজারে এসে চাই কিনে নিয়ে নেয়। বাজারে মানভেদে এসব ১০০শত চাই ৪হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এবার চাইয়ের বাজার ভালো থাকায় তাদের খেয়ে পড়ে ভালোই যাচ্ছে দিন। তবে চায়না চাইয়ের কারনে তাদের হস্ত ও কুটির এ শিল্প বাজারে চাইয়ের কিছুটা ভাটা পরেছে। বাঁশের তৈরী এ কুটির শিল্প টিকিয়ে রাখতে চায়না চাইয়ের বাজার বন্ধ করার অনুরোধ জানান ।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমান বলেন ,সাধারনত বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরতে বাশের তৈরী চাই বা দুয়ারী ব্যবহার করে থাকে আর জেলার গোয়ালন্দে এই চাইয়ের হাট বসে। যেখান থেকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা চাই ক্রয় করে চিংড়ি মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ধরতে এই চাইয়ের হাট বসে। এ চাই বা দুয়ারী যারা তৈরী করেন তাদেও কাছ থেকে যারা ছোট মাছ ধরেন তারা কিনে নেন বাজার থেকে এই মৌসুমে এ দুই শ্রেনীর মানুষ ছোট মাছ আহরন কওে জীবিকা নির্বাহ করেন