বাকেরগঞ্জের পৌরসভায় রাতের আঁধারে দুই বাচ্চার জননী তানিয়া বেগমের সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েছে ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষিপাশা গ্রামের শাওন মিয়া। ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত আনুমান ১০টার সময় ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ৪নং ওয়াডের্র মহিলা মাদ্রাসা রোডে। ঘটনার পর বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শাওন মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি জানায়, থানা পুলিশ মোটা অংঙ্কের উৎকোচ বানিজ্যের মাধ্যমে শাওন মিয়াকে ছেড়ে দেয়। অপর একটি সুত্র জানায়, শাওন মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে ভরপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের হাত রয়েছে। শাওন মিয়া এরকম অনেক মেয়েদের জীবন নষ্ট করেছে। ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি থানায় বটতলার লম্বা জসিমকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য থানায় পাঠিয়েছিলেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষিপাশা গ্রামের মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান ওরফে রাজা মিয়ার পুত্র শাওন মিয়ার সাথে পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা পৌরসভার মহিলা মাদ্রাসা রোডে ভাড়া বাসায় থাকে ঢাকায় বসবাসরত জনীর স্ত্রী তানিয়া বেগমের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। প্রতিদিন কারণে অকারনে শাওন তানিয়ার ঘরে আসা-যাওয়ার কারণে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। প্রতিদিন একটি ছেলের সাথে তার কি কাজ থাকতে পারে প্রশ্ন দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। মনের সন্দিহানের কারণে ১১ই সেপ্টম্বর স্বামী বাসায় না থাকার সুবাদে (স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করে) রাত ১০ টায় শাওন মিয়াকে তানিয়া বেগমের ঘর থেকে এলাকার লোকজন তাদেরকে হাতে নাতে ধরে গনধোলাই দেয়। পরে ঘটনা জানাজানির কারণে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে তাদেরকে থানায় নিয়ে এসে মোটা অংঙ্কের উৎকোচ বানিজ্যের মাধ্যমে দফারফা করে ছেড়ে দেয়। পুলিশ অবশ্য টাকা গ্রহনের মাধ্যমে শাওনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের এ ক্ষোভ যে কোন সময় বিক্ষোভে রুপ নিতে পারে।