সমঝোতার মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য কমিটির বদলে একজনের ব্যক্তি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠণের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিক্ষুদ্ধরা।
বিক্ষুব্ধদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে বিএনপি সমর্থিত ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব এর কেন্দ্রীয় সদস্য ডাঃ আশিক মাহমুদ ইকবাল। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার তৎকালীন এ্যাসাইনমেন্ট কর্মকর্তা ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ ইকবালের ছোট ভাই।
এদিকে ডাঃ আশিক মাহমুদ ইকবাল স্বাধীনের সংবাদ সম্মেলন ও সেই সংবাদ সম্মেলনে কেন পুলিশ বাধা দিল ও তাকে লাঞ্চিত করলো তা’ নিয়ে বগুড়া জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়া জেলা বিএনপির নেতা কর্মিরাও এতে ক্ষুব্ধ ও বিব্রত বোধ করছে বলে লক্ষ্য করা গেছে। ডাঃ স্বাধীনের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বাধাদানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় নেতা কর্মিদের বিভিন্ন মন্তব্যে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ,সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় শিবগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ¦ায়ক কমিটি গঠণের সংবাদ প্রকাশ হয়। সদ্য ঘোষিত ওই কমিটিগুলো যথাযথ নিয়ম ও নীতিমালা না মেনেএবং ইতোপুর্বে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিএম সিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম ও ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, সিনিয়র নেতা ও পৌর মেয়র এ্যাড. মাহবুব ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান লালুর উপস্থিতিতে যে গ্রহনযোগ্য কমিটির প্রস্তাবনা ছিল তার সম্পুর্ণ বিপরীত। অথচ প্রস্তাবিত ও সবার কাছে গ্রহনযোগ্য কমিটিগুলোতে শিবগঞ্জের সাবেক উপজেলা সভাপতি মীর শাহে আলম ও বিএনপি নেতা এম আর ইসলামের স্বাক্ষরিত ছিল।
তবে সদ্য ঘোষিত শিবগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটির নাম প্রকাশ হওয়ায় দলের মধ্যে যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সেই পরিস্থিতিতে শিবগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হতে ইচ্ছুক ডাঃ স্বাধীন প্রতিবাদী হিসেবে বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেন।
তারই অংশ হিসেবে তিনি বুধবার দুপুরে শিবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেন। তবে শিবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে না পেরে তিনি নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে পৌর মার্কেটের সামনে তৎক্ষণাৎ সংবাদ সম্মেলন ডেকে তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেণ । এখবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতে বললে ডাক্তার ফিরোজ ও তার সাথে থাকা শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাহীন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম পুলিশের সাথে তর্কে লিপ্ত হন। তারা পুলিশের কাছে জানতে চান কেন সংবাদ সম্মেলন করতে দিবেননা ? জবাবে পুলিশ সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত নেতাকর্মিদের সাথে হাতাহাতি শুরু করলে ডাঃ স্বাধীন বলেন, ওদের মারবেননা বরং আমাকেই এ্যারেস্ট করে নিয়ে যান।
পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মিরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।