সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে, বখাটেপনা। শহরের অলি-গলি থেকে গ্রামগঞ্জে বখাটেদের উৎপাত যেন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রত্বর হচ্ছে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া কন্যাশিশু থেকে গ্রহবধূরাও রক্ষা পাচ্ছেনা বখাটেদের হাত থেকে। বখাটেদের জন্য আজ অস্বস্তিতে আছে পুরো সমাজ। অভিভাবকদের লাগামহীন স্বাধীনতা, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে লাগামহীন বখাটেরা আরো বেপরোয়া হচ্ছে। মানুষ রুপি এসব হায়ানাদের উৎপাত এতোটাই তীব্র যে বাবা মা কন্যা সন্তানকে স্কুল কলেজে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেনা। অনেকে প্রতিবাদও করছেন না প্রতিবাদ করলেই বিপদে পড়তে হয় তার পুরো পরিবারকে। তাই কেউ প্রতিবাদও করেছেনা, অনেকটা অসহায় যেন কন্যা শিশু ও ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। পশু তুল্য বখাটেদের উৎপাত ক্রমেই মহামারি রুপ নিচ্ছে। বখাটেদের বখাটেপনায় ইতিমধ্যে অনেক কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, গনধর্ষনের শিকার হয়েছে, অপহরণ হয়েছে। ডিকটিম পরিবারগুলো মামলাও করতে চায়না, বখাটেদের ভয়ে ও প্রশাসনের প্রতি আস্থাহীনতায়। আবার বখাটেপনায় বখে যাওয়া ছেলেদের পরিবার যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। কিছু বলতে গেলেই বখাটেদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় নিজ বাবা মা। বখাটেদের এধরনের পাশবিক উৎপাত বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে কন্যা শিশুদের ভবিষ্যত অন্ধকারে হাড়িয়ে যাবে। এখনী বন্ধ করতে হবে এই সব বখাটেপনা। প্রতিটি থানায় পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে। সোচ্চার হাতে হবে এর বিরুদ্ধে বর্তমান প্রজন্মকেই। সর্বশেষ আমাদের সমাজ থেকে হত্যা, ধর্ষন, যৌনহয়রানী নির্যাতনসহ সকল বখাটেপনা বন্ধে রাজনৈতিক নেতা/নেত্রী শিক্ষক/শিক্ষিকা প্রশাসন, সমাজের পাশাপাশি অভিভাবকদের বখাটেপনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।