নীলফামারীতে সরকারের ত্রান মন্ত্রনালয়ের টিআর প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরী প্রকল্পের তালিকা প্রণনয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় উঠে এসেছে বিত্তশালী, চেয়ারম্যানের মামা, জামাই সহ আত্মীয়স্বজনেরা। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের নীরব ভুমিকাকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নে। জানা যায়, সরকারের ত্রান, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের আওতায় জেলার ডোমার উপজেলায় টিআর প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩২ টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মান করার প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এসব ঘর নির্মানে প্রতিটির ব্যায় ধরা হয় ২ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। অর্থ বছর শেষ হলেও ঘর নির্মান কাজ কেবলি শুরু করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। যথাসময়ে কাজ শুরু না করলেও ২০১৯ এর জুনে অর্থ বছর শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সরকারী বরাদ্দের টাকা ব্যাংক হতে কিভাবে উত্তোলন করা হয়েছে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে প্রকল্পের স্বচ্ছতাকে ঘিরেও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সচেতন মহলের মতে, প্রকল্প সময়মত শুরু ও শেষ না করলে সে প্রকল্পে অনিয়েমের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে, যা এ প্রকল্পে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নে ৩টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মামা পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের লাজু, জামাই লেলিন ও প্রতিবেশী নিকটাত্বীয় আবদুল করিমের ছেলে লেলিনকে। যেখানে মামাতো ভাই সরকারী চাকরী করে এবং অপর দুইজন অসহায় দুঃস্থ পরিবারের কেউ নন। সরকারী বিধি লংঘন করে তার পছন্দমত আত্মীয়স্বজনদের ঘর বরাদ্দ দেয়ায় সরকারের এ প্রকল্পের উপকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ব্যাক্তিদের চেয়েও অসহায় দুস্থ রয়েছে বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরবর্তী প্রকল্পে তাদের নাম দেয়া হবে। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ করেছে এখানে তার কার্যালয়ের কোন করার নেই জানালেও দেরীতে কাজ শুরু ও অন্যান্য ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।