ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় ১৩ নং ভবানী পুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ মাহবুবুল আলম এর বিরুদ্ধে ২০১৬ সনের ঘটনায় ২০১৯ সনে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর সাজানো মিথ্যা লিখিত অভিযোগ।
এঘটনায় সরজমিনে গিয়ে কথা হয় অভিযোগকারী রেনুয়ারা খাতুন ও তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন এর সাথে। ফাতেমা কোথায় লেখা পড়া করতেন ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত লোহাশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছি পরে অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম এর বেতবাড়ি মহিলা ফাজিল মাদ্রসা থেকে ৮ম শ্রেণীর পরিক্ষা দিয়ে ঢাকায় চলে যাই।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ফাতেমার তিন বিয়ে। প্রথম বিয়ে নিয়ে কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কান্দানিয়া গ্রামে স্বামীর নাম কাওছার, ২য় বিয়ে পলাশ তলী গ্রমে স্বামী নাম জুয়েল। ৩য় বিয়ে ত্রিশাল উপজেলার সাপ খালি গ্রামে স্বামীর নাম শাজাহান।
প্রথম স্বামীর সাথে ফাতেমা খাতুন আনুমানিক ১৫দিন সংসার করার পর স¦ামী কাওসারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলার সইমহরি নকলের তথ্য অনুযায়ী মামলা আরজিতে ফাতেমার বয়স ২০ বছর। মামলায় মেয়ের বয়স ২০ বছর দিলেন কাজী বিরুদ্ধে অভিযোগে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বয়স ১৪ দেখিয়ে অভিযোগ করলেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী রেনুয়ারা কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সাংবাদিক পাঠাইছে আমি কালকেই অর বিরুদ্ধে আরো মামলা করবো।
অধ্যক্ষ ও কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্তে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহিন অভিযোগ করেছে। ফাতেমা খাতুন আমার মাদ্রসার অনিয়মিতি ছাত্রী ছিল ২০১৩ সনে পরিক্ষা দিয়ে চলে যায়। ফাতেমার বিয়ের কাবিন ইউনিয়ন পরিষদের জম্ম সনদ প্রদান সাপেক্ষে কাবিন করি। কাবিনের নকল নিয়ে তারা আদালতে মামলা করেন মামলা নং ১৭/১৭ পারিঃ।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক সরকার বলেন, কাজী মাহবুবুল আলম এর পিতা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। তার সন্তানের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদানের তিনি দাবি করেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমন্ডার আবুবকর ছিদ্দিক প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ করেন শহীদ পরিবারের সন্তান কাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ অত্যন্ত লজ্জাজনক দ্রুত অভিযোগ হইতে অব্যহতি প্রদানের দাবি জানান।