রোহিঙ্গাদের এনআইডি কেলেঙ্কারির ঘটনায় এবার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং ট্রাভেল ব্যবসায়ীদের নাম উঠে এসেছে। রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার অভিযোগে তিনটি ট্রাভেল এজেন্সিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে এনআইডি ও জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দিয়ে পাসপোর্ট নিতে যাওয়া অন্তত ২০০ রোহিঙ্গার তথ্য প্রমাণ নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে দুদকের তদন্ত দল।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ পাসপোর্ট কার্যালয়ে ৭৪ জন, মনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ে ৫৪ জন, পুলিশের বিশেষ শাখায় ২ জন এবং কক্সবাজার জেলা পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা করে। দুদকের চাহিদা অনুযায়ী, এসব রোহিঙ্গার পাসপোর্ট আবেদন ফরম, এনআইডির ফটোকপি এবং জন্মনিবন্ধন সনদ পাঠিয়ে দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে পাসপোর্ট না পায় সে জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর বাইরে পাঁচলাইশ পাসপোর্ট কার্যালয় আরো ৩০ জনকে রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে চিহ্নিত এসব রোহিঙ্গার ভাষা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে মিল থাকায় সমস্যা পড়তে হচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে।