গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রোকন উদ-দৌলা খাগড়াছড়িতে সফরকালে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ৩দিনের সরকারি সফরকালে সদর উপজেলা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রস্তাবিত এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পুরো জেলায় ৩৮টি প্যাকেজে মোট ৯’শকোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে মো: রোকন উদ-দৌলা লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় সফরে এসে লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কে লক্ষ্মীছড়ি জোন সংলগ্ন ধুরুং নদীর বামতীরে অবস্থিত সড়কটি প্রবল বর্ষনে ধ্বসে যাওয়া এলাকার সংস্কার প্রকল্প পরিদর্শন করেন। বর্মাছড়ি ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ধুরুং নদীর পানির ¯্রােতের ভাঙ্গনের কবলে পরে। ওই সড়কটি রক্ষার জন্য সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করা অতীব জরুরী উল্লেখ করেন স্থানীয় জনসাধারণ ও নেতৃবৃন্দরা।
এসময় ৮ফিল্ড রেজিমেন্ট আটিলারি লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো: জাহাংগীর আলম, পিএসসি, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান রাজু চাকমা দিপান্তর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুমনা চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ূন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি আবুল হাসেম চৌধুরী, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মো: মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মো: রোকন উদ-দৌলা লক্ষ্মীছড়ি কলেজ পরিদর্শন করেন। লক্ষ্মীছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী মর্তুজা, কলেজের শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা অভিনন্দন জানান। ২০০২সালে ১০মার্চ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে মো: রোকন উদ-দৌলা লক্ষ্মীছড়ি কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি ওই কলেজটি জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিকেল পৌনে ৫টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ত্যাগ করেন।
এদিকে সকালে মাটিরাঙ্গা তাইন্যং সড়কে করল্যাছড়ি এলাকায় ছড়া পরিদর্শনকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) অমীত চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
পরে গুইমারা রিজিয়ন কর্তৃক পরিচালিত শহীদ লেফটেন্যান্ট মুশফিক প্রাইমারী স্কুল ও উচ্চবিদ্যালয়ের অবকাঠামো রক্ষা প্রকল্প এবং মানিকছড়ির বাটনাতলী প্রাইমারাী স্কুল ও বাটনাতলী উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামন্না মাহমুদ, সিন্দুকছড়ি জোনের উপঅধিনায়ক মেজর তৌহিদ ও মেজর পারভেজসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সফরের প্রথমদিন শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা বটতলী নামক এলাকায় চেঙ্গী নদীর বামতীরে প্রতিরক্ষমূলক বাঁধ নির্মাণ, পানছড়ি লতিবান শুকনাছড়ি খালের ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প ও পানছড়ি শান্তিপুর রাবার ড্যাম এলাকা ও শান্তিপুর উচ্চবিদ্যালয় এলাকা ভাঙ্গনরোধ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামশুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো: মমিনুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আবুল কাওসার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার তারিক তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার তারিক এ প্রতিনিধিকে বলেন, খাগড়াছড়িতে ৩৮টি প্যাকেজে মোট ৯’শকোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে।