রাজশাহীর তানোরে ধান ক্ষেতে বিষ দিয়ে বাড়ি ফিরেই এক কৃষকের মৃত্য হয়েছে। অপরদিকে, দুই সন্তানের জননী গলাইদড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পৃথক এসব ঘটনা ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামে ও উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
শনিবার দিবাগত রাতে তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের সাহেবা বেগম(৩০) শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। স্বামী সেলিম উদ্দিন বিলকুমারী বিলে মাছ ধরে ভোর ৪টার দিকে বাড়ি ফিরে। দরজা বন্ধ দেখে স্ত্রী সাহেবাকে ডাক চিৎকার করে। এ সময় স্ত্রীর সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে দেখেন স্ত্রীর ঝুলুন্ত লাশ। এ ঘটনায় সাহেবার বড়ভাই সুলতান বাদী হয়ে স্বামী সেলিম উদ্দিনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ স্বামী সেলিম উদ্দিনকে তাৎক্ষণিক আটক করেন। তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে, ওই মামলায় গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে, শনিবার দুপুরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে ধান ক্ষেতে বিষ দিয়ে বাড়ি ফিরেই এক কৃষকের মৃত্য হয়েছে। ওই কৃষকের নাম জালাল উদ্দিন(৫২)। তিনি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কৃষক জালাল উদ্দিন নিজের দেড় বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। সেই আমন ক্ষেতে শনিবার বেলা ১০টার দিকে কীটনাশক ছিটাতে যান। কীটনাশক ছিটানোর পর বেলা ১২টার দিকে বাড়ি ফেরা মাত্রই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির আগেই তার মৃত্যু হয়।