ঝিকরগাছা থানার এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় ওই কর্মকর্তা ছেড়ে দিচ্ছে বলে পুলিশের গোপনীয় বিভাগ থেকে বিষয়টি নজরে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ঝিকরগাছা থানার এএসআই শরিফুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে। সেক্ষেত্রে কোন চুক্তি তিনি মানছেন না। এক পাবলিক ক্যাশিয়ারের সহযোগিতায় ইছামত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছেন। কখনো মাদক ব্যবসায়ী না হলেও তাকে টাকা না দিলে মাদক দিয়ে মামলা করছেন তিনি।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বও বেলা ৩টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমখোলা আজার থেকে মোটরসাইকেলসহ রেজাউল ইসলামকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পুলিশের খাতায় পলাতক এ আসামিকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
১৬ সেপ্টেম্বর কায়েমখোলা বাজার থেকে মাদক ব্যবসায়ী বিল্লালকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করলেও ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
১৭ সেপ্টেম্বও কাটাখাল এলাকা থেকে আসাদুজ্জামান ও আল আমিন নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ফেনসিডিলসহ আটক করে। পরে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আল আমিনকে ছেড়ে দিলেও ১০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে আসাদুজ্জামানকে মামলা দিয়ে চালান দেন।
একই ভাবে এএসআই শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত টাকা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিষয়টি দেখভাল করছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
অভিযুক্ত এএসআই শরিফুল ইসলাম জানান, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ইতোপূর্বে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে কেউ তা প্রমাণ করতে পারেনি।’