যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যের কারমেন ব্ল্যান্ডিন টারলেটন (৫১) নামের এক নারীর শরীরের ওপর ক্ষারজাতীয় পদার্থ ছিটিয়ে দেন তার স্বামী। এই ঘটনার পর টারলেটনের শরীরের ৮১ শতাংশ পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে পুড়ে যায় তার মুখের অনেকটা অংশও। এরপর তিনি বোস্টনের ব্রিগহাম অ্যান্ড উমেন’স হাসপাতালে ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট করিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মুখের টিস্যুগুলো মরে হয়ে যাচ্ছে। আর তাই ওই নারী আবারো ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে চান।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। কারণ ওই একটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট আমার জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তানের দিকে নিয়ে যায়। টারলেটন জানান, তিনি এখন অনেক ওজন কমিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে পাঁচ মাইল হাঁটেন। টারলেটন বলেন, ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্টের আগে আমি নিম্ন মানের জীবন যাপন করতাম। আমি চাইব না এটি আরো ১০ থেকে ২০ বছর স্থায়ী হউক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ টিসহ বিশ্ব জুড়ে ৪০ টিরও বেশি রোগীর ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে। আমেরিকান কোনো রোগীই তাদের ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা মুখ হারাননি। টারলেটনের চিকিত্সকরা লক্ষ্য করেছেন যে, বেশিরভাগ প্রতিস্থাপন কারা অঙ্গগুলোর আয়ু সীমিত হয়ে এসেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার মুখের টিস্যুগুলো। ব্রিগহাম অ্যান্ড উমেন’স হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের পরিচালক ড. বোহদান পোমাহাক বলেন, আমরা অনেক অজানা এবং নতুন জিনিস আবিষ্কার করছি। প্রতিস্থাপন করার পরই সারা জীবন যে সব একই থাকবে তা চিন্তা করা ঠিক না।
২০১৩ সালে সর্জারির পর থেকে সব ভালোই চলছিল কারমেন ব্ল্যান্ডিন টারলেটনের কিন্তু গত মাসে ধরা পরে তার মুখের টিস্যুগুলো মরে যাচ্ছে। তবে অতি ধীরগতিতে তার শরীরে টিস্যুগুলো নষ্ট হচ্ছে। তাই তাকে আরো একজন ফেস ডোনারকে খুঁজতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সবাই গভীর পানির মধ্যে পড়ে আছি। আমি একটি বিপর্যয়কর ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যেতে চাইব না।
ব্ল্যান্ডিন টারলেটনের আবারো ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হলে এক মাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, যখন খারাপ সময় আসে তখন তা মোকাবেলা করতে হবে। আমি যেখানে ছিলাম সেখানে ফিরে যাবো। কিভাবে যাবো তা আমি জানি না। তবে অবশ্যই আমি তা ফিরে পাবো।
সূত্র: লস এঞ্জেলেস টাইম