কবি হবার মানসেই কবিতা লেখা নয়;
এটাতো কষ্টার্জিত একটা চাকুরী নয় যে
হারাবার ভয় আছে; এটা জীবিকার একটা
পথ নয় যে না লিখলে পেট চলবে না।
এমন কোন চুক্তিতো ছিল না যে কবিতা না লিখলে
বিয়ে করা যাবেনা অথবা বৌ রাগ করে চলে যাবে।
এ-তো কোন পূর্বশর্ত নয় যে কবি না হলে
চাকরী মিলবেনা, পেট চলবেনা, বৌ থাকবেনা।
নিতান্ত আবেগই কবিতা লেখার চেতনা দেয়।
আবেগের প্রকাশ কবিতা।
আমরা সবাইতো কবি, কেননা আমরা সমাজেরই বাসিন্দা।
তাই সমাজ নিয়ে ভাবি।
কবি তাই নেতা।
গাঁজার আসরও কবি এবং কবিতার জন্ম দেয়
স্কুলের বাগান, সাগর-নদী তীর,
বসন্তের উদাস বাতাস, নির্জন পাহাড়ের চূড়া,
আমাবস্যার অন্ধকার, জোৎ¯œার আলো,
প্রেম, হিংসা, স্বার্থ-
সবইতো কবিতার জন্ম দেয়।
সোয়া চার কুড়ি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী,
সোয়া তিন কুড়ি রাজনৈতিক দলনেতা-
সবইতো দেশ নেতার একই ভূমিকা
তবু যেন এক নয়।
কিতা কইতাম শরম করের
(সিলেটের আঞ্চলিক)
নাজমুল ইসলাম মকবুল
কিতা কইতাম শরম করের
কই গিয়া পড়তাম মরি
যেবায়উ যাই অবায় দেকি ঘুষর অউ ছড়াছড়ি।।
গাউ গেরামো বিছার লাগলে
বিছার নাই কয় আধপাগলে
মড়লে কইন বিছার পাইতে টেখা দেও তাড়াতাড়ি।।
অফিস আদালতো আইলে
ঘুষ দিতে অয় ভাইলে ভাইলে
টেখা ছাড়া তোমার ফাইলটা তলেদি থাকবো পড়ি।।
রিজেষ্টারী করতে জাগা
রাখা লাগে ঘুষর ভাগা
চাকরী বাকরী অয়নাবুলে না দিলে ঘুষর জড়ি।।
বড়ছাব কইন কানে কানে
ঘুম অয়না তান ঘুষর টানে
উপরে নিছে হখলেউ খাইন মজাদার ঘুষর বড়ি।।