চলতি মৌসুমে নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের চাষ ভাল হয়েছে। আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় ধান গাছ বেশ ভাল অবস্থায় রয়েছে বলে জানান কৃষকরা। আবহাওয়ায় কোন ব্যাতিক্রম না ঘটলে ফলন ভাল হবে বলে তারা মনে করছেন। তবে ধান চাষে একটু খরচ বেশি হওয়ায় ধানের ন্যায্য মূল্যও আশা করছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছিল। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে ২০০হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে বন্যার পানি সরে গেলে আর সেগুলো জমির ধান ভাল থাকলে উৎপাদন ভাল হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। তবে তুলনামুলক ভাবে গত বছরের চেয়ে এবারে ধান গাছের অবস্থা ভাল রয়েছে। এপর্যন্ত উপজেলার কোন এলাকার জমির ধান গাছে তেমন কোন প্রকার রোগ বালাই দেখা যায়নি। এবস্থা থাকলে এবারে উপজেলায় প্রায় ১লক্ষ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান, কপালীর মোড়ের কৃষক ফজলুর রহমান, জালুয়া গ্রামের আব্দুছ ছাত্তার, খাড়িপাহাড় গ্রামের আব্বাস আলী, বারিন্দার হুমায়ন কবির, ঘাটনগর তেলিপাড়ার মোকলেছুর রহমান, সরাইগাছি গ্রামের আবদুল মান্নান ও পাঁচড়াই গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, এ বছর আবহাওয়া কিছুটা ভাল থাকার কারণে রোপনকৃত আমন ধান গাছ সুন্দর ও সতেজ রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে ধান বের হবে। এপর্যন্ত কোন প্রকার রোগ বালাই দেখা দেয়নি। কিছু এলাকায় পোকামাড়র থাকলেও বর্তমান অবস্থায় সেগুলো আর নেই। শেষ পর্য়ন্ত এবস্থা থাকলে ধানের ফলন ভাল হবে বলে তারা মনে করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহফুজ আলম জানান, এপর্যন্ত রোপনকৃত আমন ধানে কোন রোগ বালাই আক্রমণ করেছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু এলাকায় থাকলেও আমরা সার্বক্ষনিক কৃষকদেও সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের উপ-কৃষি কর্মকর্তাগণ শতর্ক রয়েছেন। এছাড়াও তারা কৃষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তবে আমিও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি ধান গাছ ভাল রয়েছে। এরকম থাকলে ভাল ফলন হবে আর এতে আমরা আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি।