শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলায় এবার ৪১০ ম-পে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। জেলার সবচেয়ে বেশী দুগ্যোৎসব হবে দিরাই উপজেলায়।
জানা যায়, ৪১০ টির মধ্যে সার্বজনীন ৩৮৯ টি এবং পারিবারিকভাবে ২১ ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর জেলায় ৩৮৬ টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। গতবারের চেয়ে এবার জেলায় পূজা ম-প বেড়েছে ২৪ টি।
সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলায় সবচেয়ে বেশী ৬৪ টি ম-পে দিরাই উপজেলায় এবং ধর্মপাশা ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় সবচাইতে কম ১৮টি করে ম-পে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৫টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ২৪টি এবং ইউনিয়নগুলোতে ২১টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ম-প ৪টি। দিরাই উপজেলায় ৬৪টি ম-পে। পৌর এলাকায় ৭টি এবং ইউনিয়নগুলোতে ৫৭টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ম-প ২টি।
ছাতক উপজেলায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে ৩৬টি ম-পে। পৌরসভায় ১২ টি এবং ইউনিয়নগুলোতে ২৪টি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত মন্ডপ ১টি। জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩৯টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ৫টি এবং ইউনিয়নগুলোতে ৩৪টি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ম-পে ৬ টি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ২২টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪৭টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ব্যক্তিগত ম-পে ৪টি। তাহিরপুর উপজেলায় ২৯টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ব্যক্তিগত ম-প ৩টি। ধর্মপাশা উপজেলায় ১৮টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ব্যক্তিগত ম-প ১টি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৯টি, শাল্লা উপজেলায় ৩২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৮টি, মধ্যনগর থানায় ৩১টি ম-পে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমান কান্তি রায় বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। পূজার সময় টহল পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও প্রত্যেক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন এবং পূজা ম-প পরিদর্শনে যাবেন। এছাড়াও পূজার সময় জেলা এবং সদর পূজা উদযাপন পরিষদ পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল খোলা হবে। এ ছাড়া অন্য সকল উপজেলা ও থানায় মনিটরিং সেল থাকবে।