বয়স চল্লিশের কোটা পার হলে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হওয়াটা জরুরি। কারণ এ বয়সে একটু-আধটু অনিয়ম হলে হৃদরোগ আর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকখানি। খাদ্য তালিকায় রাখুন নিচের খাবারগুলোÑ
ওটস: এতে আছে বিটা গ্লুক্যান্স, যা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও লিপোপ্রোটিনের মাত্রা কমায়। গবেষকরা জানান, প্রতিদিন তিন গ্রাম যব শরীরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫ থেকে ১০ ভাগই কমিয়ে ফেলে। তাই পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তির জন্য যব খুবই কার্যকর, কেননা এই বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। ওটসের তৈরি জাউ ভাত অথবা একটু দই মিশিয়ে খেতে পারেন প্রতিদিন।
চেরি: চল্লিশের পরই সচরাচর বাতের ব্যথার লক্ষণ দেখা দেয়। এটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়। বাতের ব্যথার উপশমে চেরির কার্যকারিতা না বললেই নয়। চেরি গেঁটে বাতসহ যে কোনো ধরনের বাতের ব্যথার উপশম করতে অত্যধিক কার্যকর। এতে ভরপুর আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ১০-১২টি চেরি অথবা চেরির জুস খাওয়া মধ্যবয়স্কদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অতিরিক্ত স্বাদের জন্য দইয়ের সঙ্গেও চেরি নিয়ে খেতে পারেন।
কাজুবাদাম: রক্তে শকর্রার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মধ্যবয়স্কদের একটি চিরাচরিত সমস্যা। পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজুবাদাম খেলে এ সমস্যা থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া কোলেস্টেরল কমাতেও কাজুবাদাম সহায়ক। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায় অনেকখানি।
সামুদ্রিক মাছ: ওমেগা থ্রি’সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খেলে কম হৃদস্পন্দন ও উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। টুনা, সারডিন, হেরিং, স্যালমন ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছে অধিক পরিমাণে ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়। স্ট্রোক করার ঝুঁকি কমে, যদি নিয়মিত এসব সামুদ্রিক মাছ খাওয়া হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত চারবার ওমেগা থ্রি’সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া উচিত।
সয়া: ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ গ্রাম সয়াবিন গ্রহণ করা উচিত, কেননা এই বয়সী মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সয়াবিন খুবই উপকারী।
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপিন। এক গবেষণায় জানা যায়, ২০ মিনিট ব্যায়ামের পর ১৫০ মিলি টমেটোর জুস ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
দুধ: নিয়মিত দুধ পান করলে কত হাজার রোগ হতে মুক্ত থাকা যায়, তা কারোই অজানা নয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ আর রক্ত জমাট বাঁধাতে দুধের বিকল্প নাই। তাই সব বয়সীর জন্যই দুধ উপকারী।