দুর্গাপুর উপজেলার ৭নং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যগন কর্তৃক ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঐ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আবদুর রাজ্জাক সরকারসহ অন্য ১৩ জন।
৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টায় দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাকক্ষে হাজির হয়ে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেণ। সম্মেলনে লিখিত বিবরণ পাঠ করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আবদুর রাজ্জাক সরকার। লিখিত বিবরণে প্রকাশ ঐ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ মতিন (মোতালেব) ও সচিব মোঃ বাবুল মিয়া ইউপি মেম্বারগনের সহায়তায় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে ২৫৫ জন মহিলার তালিকা করেণ। ঐ তালিকা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সদস্য সচিব-উপজেলা ভিজিডি কমিটির মিঃ কানুলাল চাকী’র নিকট জমাদেন। তিনি দীর্ঘ সারে ৫ মাস যাচাই বাছাই করার পর উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম এর কাছে জমা করেণ। তিনিও যাচাই বাছাই করে ১১/০৬/২০১৯ তারিখে ঐ তালিকা অনুমোদন দেন। লিখিত বিবরণে যে অনিয়ম গুলি তুলেধরা হয় তা হল ঐ তালিকায় ২১২,২৪২,২৪৪ ক্রমিকে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার পোড়াকান্দুলিয়া গ্রামের মহিলা যথাক্রমে পারভিনা আক্তার স্বামী-রফিকুল ইসলাম,পান্না স্বামী-বকুল মিয়া, মোছাঃ আনোয়ারা খাতুন স্বামী-আবু সিদ্দিক এর নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অনদিকে ১,৪,৭,২৩,৩২,৩৫,৫২,৫৯,৬৮,৭৭,৭৮,৯২,৯৪,১০১,১০৩,১১১,১২২,১৩১,১৩২,১৪৫,১৫০,১৫৩,১৫৪,১৭০,১৭১,১৮৫,১৮৯,১৯৬,১৯৮,২১০,২২৪,২৪৯ ও ২৫০ ক্রমিকে স্বামীর নাম পাওয়া যায়নি বলে তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া ঐ তালিকায় ১২জন মহিলার নাম স্বামীর নাম গ্রামের নাম দুইবার করে লিখা হয়েছে,এগুলি কিসের আলামত ? দুর্নিতি নয়কি ? আমরা আবেদন বা সংবাদ সম্মেলনকারীরা মনে করছি যে বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ মতিন (মোতালেব) ও সচিব মোঃ বাবুল মিয়া, ইউপি মেম্বারগন এই দূর্নিতি ও অনিয়মের সাথে সরাসরি জরিত। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাচ্ছি যে উল্লিখিত মহিলাদের নামে দেওয়া অবৈধ ভিজিডি কার্ড বাতিল করত: অবৈধ কর্মকা-ে জরিত ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির ব্যবস্থা করা হউক।