কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে আবরারকে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।
এর আগে, সোমবার রাত পৌনে ১০টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরারের জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে অবস্থিত আল-হেরা জামে মসজিদে ফাহাদের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায়।
একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। ঘটনার পর থেকে বুয়েটে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও। এই হত্যাকা-ে জড়িত ১৯ জনকে শনাক্ত ও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, আবরার ফাহাদের মৃত্যুর এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।