ভোলার মনপুরায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৩ আসামীর মধ্যে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় পাশ্ববর্তী তজুমুদ্দিন উপজেলায় তিন ভাড়াটে খুনিকে আটক করে। এনিয়ে পুলিশ ৫ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় এজারহারভূক্ত প্রধান আসামি জয়নালকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জয়নালকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছেন বলে জানান মনপুরা থানার ওসি ফোরকান আলী।
সোমবার দিবাগত রাত ৩ টায় আটককৃত ৫ জনকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এই সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুই ছুরি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মৃত আলাউদ্দিনের বাড়ির সামনের ডোবা থেকে উদ্ধার করে।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস.এম মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত। হত্যায় আটককৃত ভাড়াটে তজুমুদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাজিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শামীম, শাহীন ও মাকছুদ মূলপরিকল্পনাকারী জয়নালের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরোও জানান, এজাহারভুক্ত দিবাকরের কাজ ছিল মৃত আলাউদ্দিনের খবর পৌছানো। অপর এজাহারভুক্ত আসামি জয়নাল, আবু কালাম ও ভাড়াটে তিন খুনী মৃত আলাউদ্দিনের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে হত্যাকান্ডটি ঘটায়। তবে তারা টাকার জন্য এই হত্যাকান্ডটি ঘটায়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে রাতে আসামীদের নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এই সময় ঘটনাস্থল (মৃত আলাউদ্দিনের বাড়ির সামনে) সংলগ্ন ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায় ফকিরহাট বাজারে ব্যবসায়ী ও ব্যাংকের এজেন্টে আলাউদ্দিন মোল্লার জানাযা শেষে ফকিরহাট বাজার মসজিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি শেলিনা আকতার চৌধুরী মৃত আলাউদ্দিনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গেলে মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী রিতু ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদের ফাঁসি দাবী করেন। এই সময় মৃত আলাউদ্দিনের বাবা, মা বারবার মূর্ছা যেতে দেখা গেছে। পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যবসায়ী মৃত আলাউদ্দিন মোল্লাকে নিজ বাড়ির উঠানে সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয়।